/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/06/ATKMB.jpg)
২০২২/২৩ মরশুমের জন্য হুয়ান ফেরান্দোর এটিকে মোহনবাগান আরও শক্তিশালী হল। দেশের সেরা দুই প্রতিভা আশিক কুরুনিয়ান, আশিস রাইকে পাঁচ বছরের জন্য সই করালো এটিকে মোহনবাগান। আশিক এবং আশিস দুজনেই সাইড ব্যাক পজিশন তো বটেই উইঙ্গার হিসাবেও খেলতে পারেন। যুবভারতীতে সদ্য সমাপ্ত এশিয়ান কাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বে তিনটে ম্যাচেই দুর্ধর্ষ ফুটবলার উপহার দিয়েছেন আশিক। গোল করতেও সাহায্য করেছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে ইতিমধ্যেই ১৬টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। আশিস আবার আইএসএলে দুরন্ত খেলেছেন। দুজনেই সিনিয়র এবং জুনিয়র দলের সম্পদ।
সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগ পেয়ে আপ্লুত দুই ফুটবলারই। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরে দুই ফুটবলারই মোহনবাগানের মাঠ এবং জিম ঘুরে দেখেন। অনুশীলনের মাঠ দেখে খুশি দুই তারকাই। সই করার পরে এটিকে এমবি-র প্রেস রিলিজে দুজনে যা বললেন-
আরও পড়ুন: তিরির হাত ধরে স্পেনে সম্মানিত সবুজ মেরুন জার্সি! বিদেশে বেনজির স্বীকৃতি ভারতীয় ফুটবলকে
আশিক কুরুনিয়ান: ইউরোপে জুনিয়র স্তরে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কলকাতার পরিকাঠামোও দারুণ। কলকাতার ক্লাবে খেলা যে কোনও ফুটবলারের কাছেই স্বপ্ন। এটিকে মোহনবাগান এই মুহূর্তে দেশের সেরা ফুটবল ক্লাব। গাইড করার জন্য রয়েছেন ফেরান্দোর মত সফল কোচ। দেশের জার্সিতে যুবভারতীতে খেলার সময়েই দেখেছি এখানকার মানুষের ফুটবলের জন্য আকুল আবেগ।
সবুজ মেরুন জার্সি চাপাতে মুখিয়ে আশিক ( ছবি - আই এস এল )
স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকার সঙ্গেই মোহনবাগান ক্লাবের পতাকাও দেখেছি। লক্ষ লক্ষ সবুজ মেরুন সমর্থকদের খুশি করাই আপাতত আমার প্রাথমিক লক্ষ্য। সেই সঙ্গে পাখির চোখ এএফসি কাপ, ডুরান্ড কাপ এবং আইএসএলে দলকে চ্যাম্পিয়ন করা।
'I dream of making my place in hearts of the fans.'
Mariners, let's give a warm welcome to Asish Rai!#ATKMohunBagan#JoyMohunBagan#AmraSobujMaroonpic.twitter.com/xPyenD6eAC— ATK Mohun Bagan FC (@atkmohunbaganfc) June 20, 2022
আরও পড়ুন: সেরার সেরা সাইডব্যাককে ছিনিয়ে বাগানকে জবাব বেঙ্গালুরুর! সাত বছর পর কলকাতা ত্যাগ সুপারস্টারের
আশিস রাই: বহুদিনের স্বপ্ন ছিল কলকাতার ক্লাবে খেলার। সেই আশা অবশেষে পূর্ণ হল। সবুজ মেরুন জার্সির ঐতিহ্য সুবিশাল। সেই জার্সিতে মাঠে নামব, ভেবেই উত্তেজনা বোধ করছি। কোচ ফেরান্দোর আক্রমণাত্মক ফুটবলের আমি দারুণ ভক্ত। প্রিয় কোচের তত্ত্বাবধানে এটিকে মোহনবাগানের জার্সিতে খেলার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। যুবভারতীতে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলার সময়েই বুঝেছি কলকাতাকে কেন ফুটবলের শহর বলা হয়! নিজের সেরাটা দিয়ে ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করতে চাই।