অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়ল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ৪৫০ রান চেজ করতে নেমে মাত্র ৮৯ রানে বান্ডিল হয়ে গেল পাকিস্তান। পারথ-এর গতিময় পিচে ধ্বস্ত হয়ে গেলেন বাবর আজমরা। অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৩/৫ করে ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিল লাঞ্চের একঘন্টা পরে। দেড় দিনে জয়ের জন্য পাকিস্তানকে ৪৫০ তুলতে হত। তবে কামিন্স-হ্যাজেলউড, স্টার্কদের কাছে মাত্র হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পেল পাক ব্যাটিং লাইন আপ। ৩৬০ রানে জয়লাভ করল অস্ট্রেলিয়া। নাথান লিয়ন-ও টেস্টে পাঁচশো উইকেটের দুর্লভ বন্ধনীতে বসে পড়লেন।
পারথ-এর পিচের অসমান বাউন্স। মার্নাস লাবুশনে, স্টিভ স্মিথের শরীরে একাধিকবার আফ্রিদিদের বল আছড়ে পড়ল। খোয়াজা, মার্শ-ও আঘাত পেলেন শরীরে। শনিবার অস্ট্রেলিয়া ৮৪-২ এ শুরু করেছিল নিজেদের ইনিংস। প্ৰথম ঘন্টাতেই ট্র্যাভিস হেড, স্মিথকে ফিরিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। তবে খোয়াজা ক্রিজে জমে যান। ১৫১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন। মার্শ পরে নেমে রান তোলার গতি বাড়িয়ে দেন।
এরপরে পারথ-এর ক্রমশ খারাপ হতে থাকা পিচ বধ্যভূমি হয়ে ওঠে পাক ব্যাটারদের কাছে। ওপেনার আব্দুল্লা শফিক প্রথম ওভারেই স্টার্কের দুরন্ত সুইংয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন। স্টার্ক সেই সঙ্গে ঘরের মাঠে টেস্টে নিজের ২০০ উইকেট পূর্ণ করেন। স্টার্কের নিখুঁত ইনকাটারের শিকার হয়ে ফিরতে হয় অন্য ওপেনার ইমাম উল হককেও। ক্যাপ্টেন শন মাসুদের অবদান মাত্র ২।
শ্যেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম্যাকগ্রাথের পর তৃতীয় অজি বোলার হিসাবে লিয়ন ৫০০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকে পড়েন সফল ডিআরএস-এর সাহায্যে। ফাহিম আশরাফকে ফেরান তিনি। একই ওভারে লিয়নের শিকার আমির জামাল। ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স চতুরতার সঙ্গে ফেরান বাবর আজমকে। এরপরে পাকিস্তান যে আর পারবে না স্পষ্ট হয়ে যায়। স্টার্ক এবং হ্যাজেলউড নিজেদের মধ্যে ৬ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন।
২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে টেস্ট শুরু হচ্ছে মেলবোর্নে।