লকডাউন চলাকালীন এবার চুরির শিকার হলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক টিম পেইন। অস্ট্রেলিয়ায় লক ডাউন চলাকালীন দক্ষিণ হবার্ট এ নিজের জিমের সামনে রাস্তার উপর গাড়ি পার্ক করেছিলেন কিছুদিন আগে। সেই সময়েই গাড়ি থেকে পেইনের ওয়ালেট সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস চুরি হয়ে যায়।
ঘটনা হলো পেইনের চোররা এরপরেই পাড়ি দিয়েছিলেন ম্যাকডোনাল্ডস এ। তারপরেই অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ফোন পান তিনি।
৩৫ বছরের অস্ট্রেলীয় তারকা এরপরেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "সকালে এন এ বি-র (ন্যাশনাল অস্ট্রেলীয় ব্যাংক) কাছ থেকে ফোন পেয়ে ঘুম ভাঙে আমার। বলা হয় আমার ব্যাংক একাউন্টে সন্দেহজনক ব্যাপারস্যাপার ঘটছে। সঙ্গে সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে দেখি আমার গাড়ির দরজা খোলা এবং ওয়ালেট সহ বেশ কিছু জিনিসপত্র মিসিং। একাউন্ট চেক করে দেখি ওরা সরাসরি ম্যাকডোনাল্ডে যায়। নিশ্চয় ওদের খুব খিদে পেয়েছিল।"
তারকা অস্ট্রেলীয় লক ডাউনের জেরে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে নিজের গ্যারেজে বলের মধ্যে মোজা ভরে অস্থায়ীভাবে ব্যাটিংয়ের বন্দোবস্থ করেছেন। পেইন এরপরে জানিয়েছেন, "আমার এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কোকাবুরার তরফে ফোন করা হয়েছিল। ওরা আমাকে বেশ কিছু বল পাঠাবে যাতে গ্যারেজেই ট্রেনিং চালিয়ে যেতে পারি।"
শুধু নিজের জন্যেই নয় সতীর্থ ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথের জন্য ও চিন্তিত তিনি। ক্রিকেট মাঠ থেকে দূরে থাকার ফলে কতটা কঠিন পরিস্থিতির সামনে সতীর্থরা তাও বুঝতে পেরেছেন তিনি।
পেইন বলেছেন, "স্মিথ প্রতিদিন ১০ কিমি রানিং করে। তবে স্মিথ, ওয়ার্নার, লাবুশনের জন্য চিন্তা হচ্ছে। ওরা বেশিক্ষন চুপচাপ বসে থাকতে পারে না। স্মিথ আর লাবুশনে আবার ব্যাটিং করা থেকে বেশিদিন বাইরে থাকা মোটেই পছন্দ করে না।"
গোটা বিশ্বের মতোই করোনার থাবা এসে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। ইতিমধ্যেই ২০০০ জন সেদেশে করোনা আক্রান্ত। মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ জন। গোটা বিশ্বে ৩০ হাজারেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন মারণ রোগে। তারপরেই সীমান্ত বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এমন অবস্থাতে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন অজি ক্রিকেটাররা।