জুন মাসের শুরুতেই জাপান এবং ব্রাজিল আয়োজকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল। তখন থেকেই ফেভারিট ছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। শুক্রবারে সেই ইঙ্গিতেই শীলমোহর দিল ফিফা। জানিয়ে দিল ২০২৩ মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। কলম্বিয়াকে পেরিয়ে বাজিমাত দুই প্রতিবেশী দেশের।
২০২৩ এর জুলাই-অগাস্টে হতে চলেছে এই বিশ্বকাপ। এই প্রথমবার মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপের মূলপর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৩২টি দেশ।
ফিফায় ৩৫ জন কাউন্সিল মেম্বারদের মধ্যে ২২জনই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ভোট দিয়েছে। কলম্বিয়া পেয়েছে ১৩টি ভোট। ঘটনাচক্রে, ফুটবল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান গ্রেগরি ক্লার্ক কলম্বিয়ার পক্ষে ভোট দেন। উয়েফার আট সদস্য দেশও লাতিন আমেরিকার দেশটির হয়ে ভোট দেন।
পরে ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফ্যান্টিনো স্বয়ং বিস্ময় প্রকাশ করেন উয়েফার দেশ কলম্বিয়াকে ভোট দেওয়ায়। কারণ, ফিফার নিজস্ব টেকনিক্যাল মূল্যায়নে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল কলম্বিয়া। ৫ এর মধ্যে ওশেনিযার দুই দেশের পয়েন্ট ছিল যেখানে ৪.১ সেখানে কলম্বিয়ার প্রাপ্ত পয়েন্ট ২.৮।
উয়েফা পরে বিবৃতি দিয়ে জানায়, স্ট্র্যাটেজিগত ভাবে লাতিন আমেরিকায় মহিলা ফুটবলের সম্প্রসারের লক্ষ্যেই তাদের সদস্য দেশ ভোট দেয় কলম্বিয়াকে।
যাইহোক, এই প্রথমবার কোনো পর্যায়ের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চলেছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। দুটি পৃথক মহাদেশের দুই দেশ বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করছে, এমনটাও আগে ঘটেনি। অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের অধীনে। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড আবার ওশেনিয়া ফুটবল সংস্থার অন্তর্ভুক্ত।
অস্ট্রেলিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ক্রিস নিকউ জানান, এই প্রথমবার এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজিত হতে চলেছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে মহিলা ফুটবলের উন্নতিতে ব্যাপক সাহায্য করবে এই বিশ্বকাপ।