পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী একাদশের হয়ে খেলতে নেমে অজি তারকা ম্যাট রেনশ অদ্ভুতভাবে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন। প্রস্তুতি ম্যাচে ক্যানবেরায় তৃতীয় দিনের খেলা চলাকালীন ৭৮ তম ওভারে ঘটল এই ঘটনা।
রেনশ ব্যাট করছিলেন হাফসেঞ্চুরির ঠিক আগেই। দুর্ধর্ষ এক কভার ড্রাইভ হাঁকিয়েছিলেন রেনশ। লম্বা দৌড়ের পর মির হামজা সেই বল থামান। দলের হয়ে এক রান বাঁচিয়ে দেন। দৌড়ে অজি দুই ব্যাটসম্যান তিন রান পূর্ণ করেন। তবে মির হামজার নন স্ট্রাইকিং এন্ডে থ্রো করেন। বাবর আজম সেই বল সংগ্রহ করে ছুঁড়ে দেন উইকেটকিপার সরফরাজ আহমেদের দিকে। পাক উইকেটকিপার সেই বল দস্তানাবন্দি করতে পারেননি। বল সোজা বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে যায়। ওভারথ্রোয়ের সঙ্গেই এক বলে মোট সাত রান ওঠে স্কোরবোর্ডে। সেইসঙ্গে ফিফটিও পূরণ করে ফেলেন রেনশ।
চা পানের বিরতির সময় ম্যাট রেনশ আপাতত ৯৯ রানে ব্যাটিং করছেন। অজি ব্যাটার নিজের ইনিংসে ছয়টা বাউন্ডারি, একটা ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন।
২৭ বছরের তারকা প্রধানমন্ত্রী একাদশের হয়ে খেলছেন চার দিনের এই প্রস্তুতি ম্যাচে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টের পরেই অবসর নিচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তাঁর বদলে অস্ট্রেলিয়ার টেস্টের জাতীয় দলে ওপেনার হওয়ার জোরালো দাবি রেখে গেলেন রেনশ।
ম্যাট রেনশ আগেই জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন। তবে সাত বছরের টেস্ট কেরিয়ারে কখনই নিয়মিত ভিত্তিতে জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে পারেননি। ওয়ার্নারের জায়গায় ওপেনার হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন মার্কাস হ্যারিস এবং ক্যামেরন ব্যানক্রফট-ও। তবে প্রস্তুতি ম্যাচের এই ইনিংস রেনশকে বাকিদের থেকে এগিয়ে দিল অনেকটাই।
পাকিস্তান তার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক শন মাসুদের দুরন্ত ডাবল হান্ড্রেড-এ ভর করে স্কোরবোর্ডে ৩৯১ তুলেছিল। মাসুদ ২০১ রানে অপরাজিত থেকে যান। বাবর আজম এবং সরফরাজ আহমেদও ৪০ এবং ৪১ করে দলের স্কোরে অবদান রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী একাদশের হয়ে জর্ডন ব্যাকিংহ্যাম পাঁচ উইকেট দখল করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই অজি ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফট (৫৩) এবং মার্কাস হ্যারিস (৪৯) ভালো সূচনা করে যান। দুজনে ওপেনিং জুটিতেই ৯৬ রান যোগ করেন। দুজনে আউট হয়ে যাওয়ার পর ক্যামেরন গ্রিন ৪৬ রান করে যান। তৃতীয় উইকেটে গ্রিন-রেনশ জুটি ৮৬ রান যোগ করেন। ব্যানক্রফট বাদে বাকিরা কেউ হাফসেঞ্চুরির গন্ডি পেরোতে না পারলেও রেনশ একশোর দোরগোড়ায়।
চতুর্থ উইকেটে ক্যাপ্টেন নাথান ম্যাকসুইনির সঙ্গে ১০২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেছেন রেনশ।