Advertisment

কোচিং ছাড়তে চান লেহম্যান, কাঁদলেন স্মিথ, নিজেকে মিথ্যাবাদী বললেন ব্যানক্রফট

অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটে মহীরুহ পতনের শব্দ শোনা যাচ্ছে সজোরে। স্মিথ, ওয়ার্নার, ব্যনক্রফটরা নির্বাসিত। সাংবাদিক সম্মেলন করছেন, ট্যুইট করছেন। এসবের মাঝেই কোচের পদ ছাড়তে চাইলেন ড্যারেল লেহম্যান। চলতি সিরিজের শেষেই তিনি চাকরি ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটে মহীরুহ পতনের শব্দ শোনা যাচ্ছে সজোরে। স্মিথ, ওয়ার্নার, ব্যনক্রফটরা নির্বাসিত। সাংবাদিক সম্মেলন করছেন, ট্যুইট করছেন। এসবের মাঝেই কোচের পদ ছাড়তে চাইলেন ড্যারেল লেহম্যান। চলতি সিরিজের শেষেই তিনি চাকরি ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

Advertisment

স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, ক্যামেরন ব্যানক্রফট, এই তিন অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটারকে ঘিরে শেষ কয়েকদিন আবর্তিত হয়েছে ক্রিকেট। বল বিতর্কে জড়িয়ে শুধু অস্ট্রেলিয়াকে নয়, ক্রিকেটকেও  কালিমালিপ্ত করেছেন তাঁরা। সে দেশের বোর্ডের রায়ে এই ত্রয়ী আপাতত ক্রিকেট খেলতে পারবেন না।

কঠিন শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে তাঁদের ঘাড়ে। স্মিথ-ওয়ার্নারকে ১২ মাসের নির্বাসনে পাঠিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আগামী ন মাস বাইশ গজ থেকে দূরে থাকার নির্দেশ ব্যানক্রফটের। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালটাই শুরু হল ক্ষমপ্রার্থনাা দিয়ে। প্রথমে ওয়ার্নার ট্যুইট করে ক্ষমা চেয়ে নিলেন। এরপর স্মিথ ও ব্যানক্রফট সাংবাদিক বৈঠক করে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন। সাংবাদিক বৈঠকে অজি অধিনায়ক স্মিথ আজ আর নিজেকে সামলাতে পারেননি। একবার নয়, একাধিকবার হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন স্মিথ। স্মিথের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা পিটার স্মিথ। ছেলেকে বারবার সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন তিনি। “আমার সব সতীর্থ, বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের ফ্যান ও অস্ট্রেলিয়ানদের হতাশা ও রাগের জন্য আমি দুঃখিত। এর পুরো দায়ভার আমার। এটা নেতৃত্বের ব্যর্থতা, আমার নেতৃত্বের ব্যর্থতা। ভুল সংশোধন করার জন্য যা যা দরকার আমি করব। আশা করি সময় এলে আবার আমার সম্মান ফিরে পাব, সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।”

বল বিকৃতির মাস্টার প্ল্যানের পিছনে স্মিথ-ওয়ার্নারের মাথা ছিল ঠিকই। কিন্তু মাঠে কাজটা করেছিলেন ব্যানক্রফট। কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে  তিনিই শিরিষ কাগজ জাতীয় কিছু দিয়ে বল ঘষছিলেন। ব্যানক্রফট এক ধরনের হলুদ টেপ ব্যবহার করেছিলেন, যাতে খুব ভাল মানের আঠা ছিল। এর আগে ক্রিকেটে এরকম টেপ ব্যবহৃত হয়নি। সাংবাদিক বৈঠকে ব্যানক্রফটও স্মিথের মতোই ক্ষমা চেয়ে নিলেন। স্বীকার করে নিলেন যে, তিনি মিথ্যা কথা বলেছিলেন। ব্যানক্রফট বললেন, “আমি দুঃখিত, এটাই বলতে চাই। আমি খুবই হতাশ, নিজের কৃতকার্যের অনুতপ্ত। এই ঘটনার জন্য আজীবন আক্ষেপ থাকবে। আমি শুধু বলতে পারি, আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি এই সমাজের প্রতি অবদান রাখার জন্য নিজের সেরাটা উজাড় করে দেব। স্যান্ডপেপারের ব্যাপারে আমি মিথ্যে বলেছিলাম। আমি এর আগে বলবিকৃতির মত কোনও কাজ করিনি।’’

cricket
Advertisment