Azam Khan Flop Show Criticism: বিখ্যাত পিতার সন্তান হওয়ার সুবাদেই কি তিনি জাতীয় দলে খেলে চলেছেন ম্যাচের পর ম্যাচ। কোনওরকমভাবে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ, তা-ও কেন দীর্ঘদিন ধরে বয়ে বেড়ানো হচ্ছে আজম খানকে। এই নিয়েই এবার পাকিস্তান ক্রিকেট তোলপাড়। নেপোটিজম-এর বিস্ফোরক অভিযোগ ধাওয়া করল পাকিস্তান ক্রিকেটকে। তাও আবার বিশ্বকাপের আগে।
উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসাবে খেলে চলেছেন আজম খান। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টি২০-তে আজম খান যেন চোখে সর্ষে ফুল দেখছিলেন। মাত্র পাঁচ বল ছিলেন ক্রিজে। অবদান ০। এরপরে কিপিং করতে নেমে একের পর এক ক্যাচ-ও ফস্কান মঈন খানের পুত্র আজম খান।
বিশ্বকাপের স্কোয়াডে আজম খানের জায়গা হওয়া নিয়ে এমনিতেই পাক সমর্থক তেতে ছিল। বিশাল বপু আজম খানের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য প্রয়োজনীয় ফিটনেস-ও নেই। এমনটাও বলে দেওয়া হয়েছিল। তবে আজম খানকে ছাড়া পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট যেন প্রথম একাদশ গড়তেই ভুলে গিয়েছে।
পাকিস্তানের এক সমর্থক সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "আমাদের দেশে স্বজনপোষনের সার্থক উদাহরণ আজম খান। প্রত্যেক বিভাগেই মধ্যমেধার দাপট। যাঁরা ওঁকে খেলিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের প্রত্যেককে হাজতবাস করা উচিত। এটা কোনও সাধারণ ভুল নয়, রীতিমত অপরাধের পর্যায়ভুক্ত।"
গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সেরে রাখল দারুণভাবে। অলরাউন্ড খেলে পাকিস্তানকে হারাল ইংল্যান্ড। টসে জিতে ইংল্যান্ড পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল। পাকিস্তান মাত্র ১৫৭ রানে আটকে গিয়েছিল। আদিল রশিদ ২ উইকেট নেন। এই রান চেজ করতে নেমে ইংল্যান্ড দারুণ শুরু করে জস বাটলার (৩৯), ফিল সল্টের (৪৫) ব্যাটে ভর করে। দুজনে ৭ ওভারেই ওপেনিং জুটিতে ৮২ তুলে দেন। হ্যারিস রউফ ৩ উইকেট নেন। তবে তিনেরও বেশি ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ বের করে নেয় ইংল্যান্ড। তার আগে হেডিংলে এবং কার্ডিফে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল।