সপ্তাহের প্রথম দিনেই বাংলার ক্রীড়ামহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল বাংলার তরুণ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় তৃণাঙ্কুর নাগের। সোমবার শিয়ালদহর নাররকেলডাঙা কারশেডে ওভারহেডের কাজ করতে গিয়ে তড়িদাহত হলেন রাজ্যের অসম্ভব প্রতিভাবান এই খেলোয়াড়। জানা গিয়েছে, ২৪ হাজার ভোল্টের বিদ্যুত কেড়ে নিয়েছে বছর পঁচিশের তরতাজা প্রাণটি। ডাবলসে রাজ্যের সেরা ও জাতীয় পর্যায়ে সেরা তিনে থাকা তৃণাঙ্কুরকে সকাল সাড়ে ন’টায় বিআর সিং হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাংলার হয়ে বহু বছর ধরে জুনিয়র ও সিনিয়র ইভেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।
স্পোর্টস কোটায় বছর পাঁচেক আগে পূর্ব রেলে কাজ পেয়েছিলেন তৃণাঙ্কুর। যথাযথ প্রশিক্ষণ না-দিয়ে দিনের পর দিন ট্রেনের ছাদে দাঁড় করিয়ে এই কাজ করানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখার বিরুদ্ধে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র জানিয়েছেন, কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা তাঁরা খতিয়ে দেখবেন, কিন্তু তার বেশি কিছুর আশ্বাস এখনও মেলে নি।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্তরের ভারতীয় অ্যাথলিটের রহস্যজনক মৃত্যু
তৃণাঙ্কুর নাগ (ছবি: ফেসবুক থেকে)
সকাল থেকেই হাসপাতালে ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সচিব শেখর বিশ্বাস। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে শেখরবাবু বললেন, "আমি এই হাসপাতাল থেকে বেরোলাম। ঘটনাস্থলে ছিলাম না। বলতে পারব না ঠিক কী হয়েছে। শুধু এটা বলতে পারি, যেসব খেলোয়াড়দের রিক্রুট করা হচ্ছে, তাঁদের সুযোগ সুবিধার দিকটাই নিশ্চিত করা উচিত। তাঁদের এমনভাবেই সাহায্য করা উচিত যাতে তাঁরা মন দিয়ে খেলাটা চালিয়ে যেতে পারেন। ফিল্ড ওয়ার্ক কম দিয়ে ডেস্ক ওয়ার্ক দেওয়া হোক। দেড়টা দু’টোর দিকে তাঁদের অফিস থেকে ছেড়ে দেওয়া হোক। এরপর যাতে তাঁরা ভাল করে প্র্যাকটিস করতে পারেন। কথাটা সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।"
তৃণাঙ্কুরের স্মৃতিচারণা করে তিনি বললেন, "এই তো গত ২০ তারিখও ও আমার সঙ্গে ছিল ইন্টার স্টেট ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা বনাম উত্তর কলকাতার ম্যাচ ছিল। উত্তর কলকাতার হয়ে ও খেলেছিল। খুবই ভাল প্লেয়ার ছিল। সেদিন আমার হাত থেকেই পুরস্কার নিল।"