Advertisment

অমৃতসরের দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্দেশে পদক উৎসর্গ করলেন বজরং

কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া বুদাপেস্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে রুপো জিতেছেন। অমৃতসরের দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্দেশ্যে সেই পদক উৎসর্গ করলেন তিনি। দশেরার সন্ধ্যায় অমৃতসরের কাছে ধোবি ঘাটে রাবণ বধের অনুষ্ঠান চলাকালীন দুটি ট্রেনের ধাক্কায় ৬১ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Bajrang Punia

অমৃতসরের দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্দেশ্যে পদক উৎসর্গ করলেন বজরং (ছবি-টুইটার)

কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া বুদাপেস্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে রুপো জিতেছেন। অমৃতসরের দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্দেশে সেই পদক উৎসর্গ করলেন তিনি। দশেরার সন্ধ্যায় অমৃতসরের কাছে ধোবি ঘাটে রাবণ বধের অনুষ্ঠান চলাকালীন দুটি ট্রেনের ধাক্কায় ৬১ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।পুনিয়া টুইটারে লিখলেন, “অমৃতসরের ট্র্যাজিক দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্দেশে আমার রুপোর পদক উৎসর্গ করছি। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।”

Advertisment

দেশের স্টার কুস্তিগীর পুনিয়া চতুর্থ ভারতীয় হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছিলেন। কিন্তু স্বর্ণ পদক ম্যাচের ৬৫ কেজি ফ্রিস্টাইল ফাইনালে তাঁকে হারতে হল জাপানি প্রতিদ্বন্দ্বী টাকুতো ওতোগুরোর কাছে। ১৯ বছরের জাপানির কাছে ২৪ বছরের বজরং ৯-১৬ হারলেন। টাকুতো হয়ে গেলেন জাপানের কনিষ্ঠতম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তাঁর আগে কিংবদন্তি জাপানি কুস্তিগীর ইউজি তাকাদা ১৯৭৬ সালে মনট্রিয়াল অলিম্পিকে কনিষ্ঠতম জাপানি হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন। তখন তাঁর বয়স ছিল ২০।

আরও পড়ুন: সরকার মুখ ফেরালে আদালতে যাওয়ার হুঙ্কার বজরঙের

পুনিয়া চলতি বছর কমনওয়েলথ ও  এশিয়ান গেমসে সোনা জেতেন। ২০১৩ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন তিনি। পুনিয়াই একমাত্র ভারতীয় যিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে জোড়া পদক জয়ের নজির গড়লেন। সুশীল কুমার একমাত্র ভারতীয় যাঁর এই ইভেন্টে সোনা জয়ের নজির রয়েছে। ২০১০-এ সুশীল স্বর্ণ পদক জেতেন। সুশীল ও পুনিয়া ছাড়া অমিত দাহিয়া (২০১৩) ও বিশম্বর সিং (১৯৬৭) বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছিলেন। উদয় চাঁদ (১৯৬১), রমেশ কুমার (২০০৯) ও নরসিংহ যাদব (২০১৫) ফ্রিস্টাইল কুস্তিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জয়ী তিন ভারতীয় পুরুষ কুস্তিগীর। মেয়েদের মধ্যে ববিতা ফোগাট (২০১২), গীতা ফোগাট (২০১২) ও অলকা তোমার (২০০৬) ভারতের হয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ব্রোঞ্জ জিতেছেন।

Advertisment