/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/04/1587800054746_2-LEAD.jpg)
করোনা বদলে দিয়েছে সমস্ত খেলার রূপই। এবার ক্রিকেটেও সেই ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে। বল ট্যাম্পায়ারিং এবার আইনত সিদ্ধ হতে পারে। করোনার পরে খেলা শুরু হলে। এমনটাই জানা গিয়েছে।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আম্পায়ারের উপস্থিতিতে কৃত্রিম পদার্থ দিয়ে বল পালিশ করার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
ব্যাটসম্যানদের আউট করতে বোলারদের অস্ত্র সুইং। আর বলের কারিকুরিতে ভরসা বোলার, ফিল্ডারদের লালা ও ঘাম। তবে ভাইরাস সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে বলে সাময়িকভাবে মাখানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা বলছেন প্রাক্তন বোলাররাই।
বৈধভাবে ঘাম, থুতু ব্যবহার করেই এতদিন বলের সাইন তোলার কাজ করতেন বোলাররা। তবে থুতু বাদ দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র ঘাম ব্যবহার করাই নিয়মমাফিক। এতে অনেকেই ব্যাটসম্যানদের এডভান্টেজ পাওয়ার কথা বলেছেন। খেলার ভারসাম্য আনার জন্যই এবার ভাবনা চিন্তা চলছে কৃত্রিম পদার্থ দিয়ে বল সাইন করার কাজ আইনসিদ্ধ করার।
বৃহস্পতিবার আইসিসির চিফ একজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে মেডিকেল দলের সদস্য পিটার হ্যাঙ্কক এক বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, "ক্রিকেট ফিরে আসার পর রোডম্যাপ নতুন করে তৈরি করতে হবে। কোন বিষয়ে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা প্রয়োজন। ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি, সরকারি ছাড়পত্র, সমস্ত জটিলতা নিয়ে ভাবনার অবকাশ রয়েছে।"
বোলারদের নতুন সমস্যার প্রসঙ্গে অজি পেসার জোস হাজেলউড জানিয়েছিলেন, "সাদা বলে খেলা সমস্যার হবে না। তবে টেস্টে সমস্যায় পড়তে হবে। বোলাররা হওয়ায় সাইড মুভমেন্টে বেশি ভরসা করে থাকে। বলের চকচকে ভাগ নষ্ট হয়ে গেলে ব্যাট করা সহজ হয়ে যাবে।"
জেলি জাতীয় পদার্থের কথা উল্লেখ না করে জাতীয় দলের প্রাক্তন পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ আগেই জানিয়েছিলেন, "নিরাপত্তার স্বার্থে কিছুদিন বোলারদের লালা ব্যবহারে রাশ টানতে হবে। কেবলমাত্র ঘাম ব্যবহার করে কাজ চালাতে হবে। তবে খেলার সময় অনেকেই উত্তেজনার মুহূর্তে ভুলে যেতেই পারে। অন্যভাবে ব্যাটসম্যানের উপর চাপ তৈরি করতে হবে বোলারদের।"
পাশাপাশি তাঁর আরো পরামর্শ ছিল, "দলের মধ্যে যাঁরা বেশি ঘামে তাঁদের কাছে বল পাঠানো হোক বল করার মাঝে। আমি এমনন একজন যে বেশি ঘামে না। আবার রাহুল দ্রাবিড় বেশি ঘামতো।"