BCB seeks Army's help: আর মাত্র আড়াই মাস। তারপরেই বাংলাদেশে বসছে মহিলাদের টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের আসর। ৩ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত আয়োজিত হওয়া ইভেন্টে ১০ দল অংশগ্রহণ করবে। ১৮ দিনের ইভেন্টে সবমিলিয়ে ২৩ ম্যাচ খেলা হবে।
তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থায় বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যাবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দুর্যোগ নেমে এসেছে ওপার বাংলায়। গোটা দেশে নৈরাজ্য, হাহাকারের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সন্ত্রাসীদের হাড় হিম করা সন্ত্রাসের কবলে দেশের সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামি লিগের সমর্থক-কর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনওরকমে ভারতে পালিয়ে প্রাণরক্ষা করেছেন। তাঁর দেখানো পথেই আওয়ামি লিগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা আপাতত দেশের বাইরে চলে গিয়েছেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সহ বিসিবির ডিরেক্টর-ও দেশের বাইরে। শেখ হাসিনার স্নেহধন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা আপাতত প্রাণভয়ে দেশ ছেড়েছেন। গোটা দেশে রাষ্ট্রীয় সতর্কতাবার্তা জারি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকারের গঠন-ও হয়েছে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে। এতেই মাথাব্যথা বেড়েছে আইসিসির।
এমন অবস্থায় সুষ্ঠুভাবে বাংলাদেশে টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করা সম্ভব কিনা, তা ভেবে দেখার পাশাপাশি পরিবর্ত ভেন্যু-ও কোথায় হতে পারে, তা-ও কষে রাখছে আইসিসি।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের নিরাপত্তা যে মোটেই আশাপ্রদ নয়, তা বলাই বাহুল্য। টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপ কোনওভাবেই আয়োজন করা সম্ভব নয় পদ্মাপাড়ে। শেষ চেষ্টা ক্ষমতাসীন বিসিবি আধিকারিকরা আপাতত দেশের সেনা বাহিনীর কাছে চিঠি লিখে সহায়তার আর্জি জানিয়েছে। বোর্ডের তরফে সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান-এর কাছে চিঠি লিখে আর্জি করা হয়েছে, টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য যেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে বাংলাদেশের সেনা। আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান ইফতিকার আহমেদ মিঠু জানিয়েছেন, বিসিবির অধিকাংশ প্যানেল মেম্বার-ই দেশ ছাড়া। সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়েছে মাত্র ২ মাসের জন্য।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আইসিসির সঙ্গে বিসিবির প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে টুর্নামেন্টের আয়োজনের জন্য। আইসিসি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছে। মিঠু বলেছেন, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা বোর্ডের দেখার কথা নয়। এই বিষয়ে নিশ্চিত করবে সেনাবাহিনী। বিসিবির তরফে আইসিসিকে এই বিষয়ে শীঘ্রই প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে। তারপরেই টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের ভেন্যু চূড়ান্ত হবে।
সহিংসতার বাংলাদেশে কোনওভাবে টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব না হলে আইসিসির ভাবনায় রয়েছে তিন দেশ- ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং আরব আমিরশাহি। বাংলাদেশ যদি আইসিসিকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে না পারে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তা হলে আইসিসি এই তিন দেশের একটিতে মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। মোদ্দা কথা হঠাৎ করে বাংলাদেশের নৈরাজ্য আইসিসিকে ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে। দ্রুতই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আইসিসিকে।