অনেক বড় মুখ করে এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন স্পোর্টস প্রমোটার শতদ্রু দত্ত। বলে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশি সমর্থকদের অফুরন্ত ভালবাসার জন্যই এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে বাংলাদেশে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে ঘটনা হল, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বাংলাদেশি ফুটবল সমর্থক রা অনেক দূর, বরং জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন জামাল ভূঁইয়াই নাগাল পেলেন না বিশ্বকাপজয়ী এমির।
ভারতে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে বাংলাদেশি দল সোমবারই দেশে ফিরেছে। তবে ঢাকার শাহ জালাল বিমানবন্দরে ছিল সাজো সাজো রব। এমির আগমন ঘিরে তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। সেই সময়েই এমির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মুখিয়ে ছিলেন জামাল ভূঁইয়া। তবে তাঁকে এমির কাছে ঘেঁষতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশের জাতীয় দলের টিম অ্যাটেনডেন্ট মো. মহসিন দেশের জাতীয় একাধিক প্রচারমাধ্যমে জানিয়েছেন, "অনেকে চলে গেলেও জামাল ভাইয়ের মার্টিনেজের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে ছিল। তিনি আমাকেও সঙ্গে নেন। আমরা অপেক্ষা করছিলাম এবং কয়েকজনকে বলেছি, বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক অপেক্ষা করছেন। মার্টিনেজ গাড়ি থেকে নামার পরপরই তাকে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়।"
এমি মার্টিনেজ বাংলাদেশে মাত্র কয়েকঘন্টার জন্য ছিলেন। ভোরবেলায় ঢাকায় পৌঁছে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিশ্বকাপের গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী। তারপর মাসরাফি মোর্তজার সঙ্গেও সাক্ষাৎ সারেন তিনি।
ঘটনা হল, এতে আরও আগুনে ঘি পড়েছে। সমালোচনার নিশানায় শতদ্রু দত্তের সঙ্গে চুক্তি করে এমি মার্টিনেজকে কয়েকঘন্টার জন্য বাংলাদেশে হাজির করা স্পন্সর প্রতিষ্ঠাতা সংস্থা নেক্সট ভেঞ্চার্স। বাংলাদেশি মিডিয়ায় জোর আলোচনা, অর্থের দাপটের কাছে হার মেনে গেল বাংলাদেশি ফুটবল সমর্থকদের আবেগ।
জামাল ভূঁইয়ার অপমানে আপাতত ফুঁসছে গোটা বাংলাদেশ! মার্টিনেজকে আনার আয়োজক-উদ্যোক্তারা আপাতত চরম নিন্দিত পদ্মাপাড়ে। এই ঘটনার ড্যামেজ কন্ট্রোল কি করা সম্ভব?