Litton Das, Bangladesh violence: গত কয়েক দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল তাঁর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মুখ খুললেন লিটন দাস। বলে দিলেন, পুরো ঘটনা সর্বৈব মিথ্যা। তিনি যেমন আক্রান্ত হননি। তেমন তাঁর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেনি।
হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে বাংলাদেশে। ক্রমবর্ধমান ছাত্র রোষে যোগ হয়েছিল বিরোধী দলের ইন্ধন। কার্যত প্রাণ বাঁচাতে শেষমেশ ভারতে চলে এসেছেন বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে।
পালাবদলের এই রাজত্বে হাড়হিম করা সন্ত্রাস নেমে এসেছে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামি লিগের কর্মী সমর্থকদের ওপর। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খুন, জখম, ডাকাতি, রাহাজানি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসিনার পলায়নের পর এখনও পর্যন্ত কয়েক শতাধিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন সংঘর্ষে।
ভারতে আসার জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে। এর মধ্যেই আতঙ্কে রয়েছেন গোটা দেশের আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকরা। বাংলাদেশের ক্রিকেটেও পালাবদল হাজির। হাসিনার মদতপুষ্ট বিসিবি কর্তারা আপাতত দেশত্যাগী। বোর্ড সভাপতি পাপন তো বটেই ডিরেক্টর সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সকলেই বাংলাদেশ ছেড়েছেন জনরোষের ভয়ে।
আওয়ামি লিগের টিকিটে বাংলাদেশের সংসদের সদস্য হয়েছিলেন মাশরাফি মোর্তজা, সাকিব আল হাসান। সন্ত্রাসীরা হামলা করেছেন মাশরাফি মোর্তাজার বাড়িতে। কয়েকদিন আগেই তাঁর বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মাশরাফির বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর-ই হঠাৎ করেই ছবি সমেত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় লিটন দাসের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে। তবে এই ভুল ভাঙিয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন লিটন দাস নিজেই। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি লিখেছেন, "প্রিয় দেশবাসী, সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একটি বিষয় অবগত করতে চাই। সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন মিডিয়াতে একটি খবর প্রচার হয়েছে আমাদের বাড়িতে হামলার ঘটনা নিয়ে, যার কোন সত্যতা নেই। কেউ এইসব গুজবে কান দিবেন না। আমি এবং আমার পরিবার এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছি।"
"আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এই দেশে আমরা সকল ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যেন একসাথে সামনে এগিয়ে যেতে পারি সেটাই এখন আমাদের একমাত্র মূলমন্ত্র হওয়া উচিত। আমার দিনাজপুরবাসীসহ পুরো দেশ একে অন্যের রক্ষায় যেভাবে নিয়োজিত ছিলেন সেটা সত্যিই প্রশংসনীয় এবং আমি কৃতজ্ঞ। আমি আশা করবো ভবিষ্যতেও আমরা সবাই একসাথে থাকবো এবং সকল ধরনের সহিংসতা থেকে দূরে রাখবো এই দেশটাকে । কারণ দেশটা আমাদের সবার।"
বাংলাদেশ আপাতত তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে হাজির হবে পাকিস্তানে। আওয়ামি লিগের টিকিটে হাসিনার সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাকিব আল হাসান-ও জনরোষের ভয়ে রয়েছেন। তবে তিনি এখন কানাডায় জিটি২০ লিগ খেলতে ব্যস্ত। তাঁর ওপরেও হামলা হতে পারে, এমন নিরাপত্তা সংশয়ের মুখে তিনি বাংলাদেশে না এসে সরাসরি পাকিস্তানের জাতীয় দলে যোগ দিতে পারেন, এমন সম্ভবনাও রয়েছে। সাকিবকে টেস্ট সিরিজ থেকে বাদ দেওয়াও হতে পারে। সবমিলিয়ে ব্যাপক ডামাডোলে বাংলাদেশ ক্রিকেট।