হাতে আর তিনদিন। তারপরেই ইডেন গার্ডেন্সে ঐতিহাসিক দিন-রাতের টেস্ট। ভারত বা বাংলাদেশ কেউই এর আগে গোলাপি বলে ক্রিকেট খেলেনি। ফলে নতুন বলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য় দু’দলই কোমর বেঁধে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। গোলাপি বলের সঙ্গে সখ্য়তা বাড়াতেই যতটা বেশি সম্ভব প্র্যাকটিস করছে বাংলাদেশ।
ইডেনে শিশিরের কথা মাথায় রেখেই বাংলাদেশের ফাস্টবোলাররা গোলাপি বল জলে চুবিয়েই প্র্যাকটিস সারছে। সোমবার সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে এমনটাই জানিয়েছেন সেদেশের স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহদি হাসান মিরাজ। ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের আলোয় প্র্য়াকটিসে মত্ত টিম বাংলাদেশ। রাসেল ডোমিঙ্গোর কোচিংয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা সেন্টার উইকেটেই অনুশীলন করেছে টিম বাংলাদেশ। স্লিপ কর্ডন ও উইকেটকিপার লিটন দাসের জন্য় ক্য়াচিং ড্রিল করিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন–দিন-রাতের টেস্ট: হাউসফুল ইডেন দেখে খুশি হবেন কোহলি, জানিয়ে দিলেন সৌরভ
Snaps from Bangladesh team today’s practice session.
See more photos here : https://t.co/QT3DiAhTMa pic.twitter.com/frje6B6hpO
— Bangladesh Cricket (@BCBtigers) November 18, 2019
অনুশীলনের পর মেহদি বলছেন, “পেস বোলাররা আগামী কয়েকদিন এভাবেই জলে বল চুবিয়ে প্র্য়াকটিস করবে। গোলাপি বল ভিজে গেলে একটু বেশি স্কিড করে। বাউন্স আর টার্নও থাকছে বলে।“ মেহদি নিজের ব্য়াট করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, “গোলাপি বলে নেট করে দেখলাম যে, বল পড়ার পর অত্য়ন্ত দ্রুত গতিতে ব্য়াটে চলে আসে। বলটাকে কাটও করা যায়। আমরা গোলাপি বলে একদমই নতুন। ফলে যতটা বেশি সম্ভব প্র্য়াকটিস করছি। শুরুর দিকে একটা লড়াই করতে হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব।“
মেহদি কিন্তু বলের দৃশ্য়মানতা নিয়ে কোনও সমস্য়ার কথা বলেননি সেঅর্থে। তাঁর সংযোজন, “ক্য়াচিং বা ফিল্ডিংয়ের সময় দেখতে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না। কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে। সিমটা দেখা যাচ্ছে মাঝে মধ্য়ে। কিন্তু কিছু কিছু সময় আবার দেখাও যাচ্ছে না।“
ইন্দোরে প্রথম টেস্টে ভারত ইনিংস ও ১৩০ রানে বাংলাদেশকে হারিয়েছে। কলকাতায় জিততে পারলেই দুই ম্য়াচের টেস্ট সিরিজে পদ্মাপারের দেশকে হোয়াইটওয়াশ করবে ভারত।