একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু, অনেকেই জানেন না যে, টিম টাইগারের অধিনায়ক শাকিব-অল-হাসান ঝাপসা চোখেই বিশ্বকাপটা কাটিয়েছেন। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বছর ৩৬-এর শাকিব জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বকাপের সময় বামচোখে ঝাপসা দেখছিলেন। সাক্ষাৎকারে শাকিব বলেন, 'বিশ্বকাপের একটা বা দুটো ম্যাচ না। গোটা বিশ্বকাপটাই আমি ঝাপসা চোখে কাটিয়েছি। বল দেখতে আমার খুবই সমস্যা হচ্ছিল।'
আরও- IPL-এর আগেই নিষিদ্ধ তিন তারকা! কোটি কোটি টাকা জলে যেতে বসেছে KKR-এর
শাকিব জানিয়েছেন, তিনি ইতিমধ্যে এই সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শও নিয়েছেন। চিকিৎসক তাঁকে স্ট্রেস কমাতে বলেছেন। এই ব্যাপারে শাকিব বলেন, 'আমি ডাক্তারের কাছে গেছিলাম। আমার কর্নিয়া বা রেটিনায় জল জমেছিল। উনি আমাকে ড্রপ দিয়েছিলেন। সঙ্গে চাপ কমাতে বলেছিলেন। আমি জানি না, সেজন্যই আমার চোখে কোনও সমস্যা হয়েছে কি না। কারণ, বিশ্বকাপের পরও আমার ঝাপসা দেখার সমস্যাটা কাটেনি। আমি আমেরিকায় ডাক্তারকে দেখিয়েছি। সেই সময় কোনও চাপ ছিল না। আমি ডাক্তারকে বলেছিলাম, এখন তো বিশ্বকাপ নেই। চাপের ব্যাপারও নেই। তারপরও কেন সমস্যা হচ্ছে?'
আরও পড়ুন- প্ৰথম টেস্টে টসের সময়েই দুঃসংবাদ! সেরা তারকাকে হারিয়ে কম্বিনেশন বদলাল ভারত, চমক প্ৰথম ১১-য়
তবে, শাকিব মানতে নারাজ যে নেতৃত্বের চাপ তাঁর পারফরম্যান্সের ওপর পড়ছে। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের অধিনায়ক হওয়ায় চাপে ভুগছি, এমন কোনও অজুহাত আমি দিতে নারাজ। বদলে বলতে পারি, যদি আগেই অধিনায়কত্বটা পেতাম, ব্যাপারটা আমার কাছে আরও সহজ হত। কারণ, সেই সময় আমি পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারতাম।' এমনিতেই চোটের জন্য শাকিব বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি। সাত ম্যাচে করেছেন ১৮৬ রান। গড় ২৬.৫৭।
আরও পড়ুন- KKR মেন্টর গম্ভীরের কাছে সরাসরি ২-৩ কোটি টাকা চাইলেন সঞ্চালক, ভিডিওয় ব্যাপক তোলপাড়
যার জেরে দলের বাকিদের সঙ্গে এই অলরাউন্ডারকেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এমনকী, ব্যাটে খরা কাটাতে বাংলাদেশ অধিনায়ক তাঁর ছেলেবেলার কোচ নাজমুল আবেদিনেরও সাহায্য নিয়েছিলেন। তাঁর তত্বাবধানে দীর্ঘ ব্যাটিং প্র্যাকটিস করেছেন। কিন্তু, কিছুতেই কিছু হয়নি। তার পরই নিজের শহর মাগুরায় সত্যিটা ফাঁস করে রীতিমতো বোমা ফাটালেন এই অলরাউন্ডার।