New Update
ICC World Cup 2019, Bangladesh vs Afghanistan Highlights: সাউদ্য়াম্পটনে শাকিব শো, শেষ চারের আশা জিইয়ে রাখল পদ্মাপারের দেশ
ICC World Cup 2019, Bangladesh vs Afghanistan Highlights: বাংলাদেশের ২৬২ রান তাড়া করতে নেমে আফগানিস্থান ২০০ রানে গুটিয়ে গেল। ৬২ রানে জিতে শেষ চারের আশা জিইয়ে রাখল বাংলাদেশ।
Advertisment
সাউদ্য়াম্পটনে শাকিব শো। আফগান বধ বাংলাদেশের
আট উইকেট চলে গেল আফগানিস্থানের! নাজিবুল্লা জর্দানকে আউট করার সঙ্গেই ম্যাচে নিজের পাঁচ উইকেট নেওয়া হয়ে গেল শাকিবের। আর তার পরের ওভারে এসেই মুস্তাফিজুর ফেরালেন রশিদ খানকে। আট উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। এ ম্য়াচে আর বলার কিছুই নেই। শুধু যবনিকা পতনের অপেক্ষা। আজ শাকিব ব্য়াট হাতে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন। বিশ্বকাপের ১৯ তম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০০ রান পূর্ণ করার মাইলস্টোন স্পর্শ করেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশের আর কোনও ক্রিকেটার এই রেকর্ড করতে পারেনি। এবার বল হাতেও রেকর্ড করলেন তিনি। পদ্মাপারের দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপের ম্য়াচে পাঁচ উইকেট নিলেন।
হাফ ডজন উইকেট হারাল বাংলাদেশ
পাঁচ উইকেট হারাল আফগানিস্থান! ম্যাচের চার নম্বর উইকেট শাকিবের। তাঁর জন্য় আর কোনও প্রশংসাই যথার্থ নয়। ৩৪ ওভারের খেলা শেষ। আফগানরা ১২৫ রান তুলল। বাংলাদেশের জয় এখন সময়ের অপেক্ষা। এখনই বলে দেওয়া যায় আজ ম্য়াচের নায়ক শাকিব ছাড়া আর কেউ নন। ব্য়াটে-বলে একাই সুপারহিট তিনি।
উই লাভ ইউ শাকিব, এমন পোস্টারই দেখা যাচ্ছে মাঠে। আর হবেই না বা কেন এই টুর্নামেন্টে সেদেশের স্টার এই একজনই। শাকিব আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার। ২৯ নম্বর ওভারে বল করতে এসে গুলবদিন নইব আর মহম্মদ নবিকে ড্রেসিংরুমের রাস্তা দেখালেন তিনি। বলতে গেলে আফাগানিস্থানের কবরটা তিনি খুঁড়ে দিলেন। ১০৬ রান তুলে চার উইকেট রাহাল আফগানরা। ম্য়াচের হটসিটে বাংলাদেশ।
দুরন্ত স্টাম্পিং মুশফিকুরের! মোসাদ্দেক হোসেনের বলে হাশমাতুল্লাহর উইকেট ছিটকে দিলেন। ২২ ওভারে ৮১ রান তুলল আফগানিস্থান। আসগর আফগান এলেন ক্রিজে। নবি নিজের উইকেট ধরে রেখেছেন। আফগানিস্তানের সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধছেন প্রিয় দলের জয়ের জন্য়।
শাকিব এনে দিলেন মাশরাফিকে প্রথম উইকেট। অবশেষে ওপেনিং জুটি ভাঙল। রহমাত শাহ ২৪ রান শাকিবের বলে ক্যাচ আউট হয়ে গেলেন। ১১ ওভার শেষে আফগানরা ১ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান তুলল। এখন হাশমাতুল্লাহ আর গুলবদিন ক্রিজে। উইকেটের লক্ষ্যে বাংলাদেশ।
গুলবদিন নইব আর তাঁর ওপেনিং পার্টনার রহমাত শাহ ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছেন। বাংলাদেশ উইকেটের জন্য় মরিয়া। অনায়াসে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন আফগানরা। এখনও পর্যন্ত বিপাকে পড়তে হয়নি তাঁদের। বাংলাদেশের বোলিং দেখে অত্যন্ত নির্বিষ মনে হচ্ছে। অন্য়দিকে বড় ধাক্কা উইন্ডিজ শিবিরে, চোটের জন্য ছিটকে গেলেন আন্দ্রে রাসেল। তাঁর পরিবর্তে দলে যোগ দেবেন সুনীল আমব্রিস।
টার্গেট ২৬৩। মাঠে নেমেছেন গুলবদিন নবি আর রহমাত শাহ। দু ওভারের খেলেও ফেললেন তাঁর। তুললেন আটটি রান। আফগানিস্থানের বিশ্বকাপ অভিযান আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আফগান ক্য়াপ্টেন গুলবদিন বলেছেন তাঁদেরকে যেন বাংলাদেশ সহজ ভাবে না নেয়। পদ্মাপারের দেশের সঙ্গে নেক-টু-নেক লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত তাঁর দল। মাশরাফি মোর্তাজা এবং মুস্তাফিজুর রহমানের ওপেনিং স্পেল চলছে। উইকেট চাইছেন বাংলাদেশের ফ্যানেরা।
ব্য়াটে বলে উজ্জ্বল মুজিব উর রহমান ও মুশফিকুর রহিম।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬২ তুলল বাংলাদেশ। শেষ বলে গুলাবদিন নাইবের বলে মোসাদ্দেক হোসেন বোল্ড হয়ে যান। তার আগে অবশ্য ২৪ বলে ৩৫ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে যান তিনি। জিততে হলে ওভার পিছু সাড়ে পাঁচের বেশি রান রেটে আফগানিস্তানকে ২৬৩ তুলতে হবে। মাশরাফি, সাকিবরা কি বাংলাদেশকে থামাতে পারবেন, সেটাই দেখার।
অবশেষে আউট মুশফিকুর রহিম। ৮৭ বলে ৮৩ রান করে মুশফিকুর দওলাতল জারদানের বলে মহম্মদন নবির হাতে ক্যাচ তুলে আউট। কঠিন সময়ে দলের হাল ধরেছিলেন। যখন ছাড়লেন, তখন দল অনেকটাই স্বস্তিজনক স্কোরে। ৪৮.৩ ওভারে বাংলাদেশ ২৫২।
গুলাবদিন নাইব ফেরালেন মাহমুদ্দুল্লাকে। স্লোয়ার বলে না পড়তে পেরে মহম্মদ নবির হাতে ক্য়াচ তুলে বিদায় নিলেন মাহমুদ্দুল্লা (২৭)। ৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২১২। ৫ উইকেটের বিনিময়ে।
সাকিব আউট হয়ে গিয়েছেন আগেই। দলকে হাফসেঞ্চুরি করে টানছেন মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদ্দুল্লা রিয়াধ। ৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২০০। মুশফিকুর (৬৪ ব্যাটিং) এবং মাহমুদ্দুল্লা রিয়াধের (২২ ব্যাটিং) পার্টবারশিপে হাফসেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছে।
সাকিবের পর এবার মুজিব উর রহমানের শিকার সৌম্য সরকার। সেই লেগ বিফোরে ফিরলেন সৌম্য । ডিআরএস নিয়েও বাঁচতে পারেননি সৌম্য। রিভিউয়ে দেখা যায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই ঠিক। পরপর উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ। মুশফিকুরের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়তে হবে বাকি ব্যাটসম্যানদের। ৩৩ ওভারে বাংলাদেশ ১৫৪ রান তুলতেই হারিয়েছে ৪ উইকেট।
হাফসেঞ্চুরি করেই আউট সাকিব আল হাসান। ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছিলেন আফগানিস্তানের বোলাররা। টাইট লাইন লেংথে বল রাখছিলেন তাঁরা। শেষ ৬ ওভারে একটাও বাউন্ডারি হাকাতে পারেননি সাকিবরা। নিজের হাফসেঞ্চুরির আগের ওভারেই মেডেন ওভার দিয়েছিলেন সাকিব। অন্যদিকে, আরও চাপ বাড়ানোর জন্য আফগানিস্তান অধিনায়ক ফিরিয়ে এনেছিলেন মুজিব উর রহমানকে। সেই মুজিবের রং ওয়ান ধরতে না পেরেই লেগ বিফোর সাকিব। ৫১ রানে ফিরলেন তিনি। ৩১ ওভারে বাংলাদেশ ১৪৮। ক্রিজে এলেন সৌম্য সরকার।
থামানোই যাচ্ছে না সাকিবকে। ব্যাট হাতে নামলেই রানের বন্যা ছুটিয়ে দিচ্ছেন। আফগানিস্তান ম্যাচেও সাকিব নিজের সুনাম বজায় রাখলেন। হাফসেঞ্চুরি করে দলকে টানছেন তিনি। ৬৬ বলে এদিন অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে ফেললেন তিনি। মুশফিকুর ৩০ রানে ব্যাটিং করছেন। ২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশ ১৩৯। ২ উইকেট হারিয়ে।
ব্যাটে তুখোড় ফর্মে রয়েছেন তারকা ক্রিকেটার। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও হাফসেঞ্চুরির দোড়গোড়ায়। তিনিই এদিন অবিস্মরণীয় রেকর্ড গড়ে ফেললেন। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে ১০০০ রান ঝুলিতে তাঁর। সবমিলিয়ে ১৯ তম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই রেকর্ড গড়লেন তিনি।
সাকিব-তামিমের জুটিতে বাংলাদেশ ২০.৩ ওভারেই ১০০ রান তুলে ফেলল স্কোরবোর্ডে। ২১ ওভার শেষে বাংলাদেশ ১০৩। সাকিব ৪৪ বলে ৩৩ এবং মুশফিকুর রহিম ১১ বলে ৯ রানে ব্যাটিং করছেন।
মহম্মদ নবি ফেরালেন তামিম ইকবালকে। স্ট্রেটার দিয়েছিলেন। অতিরিক্ত বাউন্স বুঝতে না পেরে বোল্ড তিনি। নবি তামিমকে ফেরানোর পরের ওভারের ফের ঝটকা দিয়েছিলেন রশিদ খান। রশিদের বলে লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। যদিও ডিআরএস নিয়ে দেখা যায় বল অনেকটাই উপর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। যাইহোক, আফগান স্পিনারদের সামনে কিন্তু অস্বস্তি প্রকট বাংলাদেশিদের। ১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৮৫। ২ উইকেটের বিনিময়ে। সাকিব ২৭ রানে ব্যাটিং করছেন। ক্রিজে এলেন মুশফিকুর।
লিটন দাস আউট হওয়ার পরে ক্রিজে টিকে গিয়েছে সাকিব-তামিমের পার্টনারশিপ। ফিফটি রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে ফেলেছেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান। মহম্মদ নবি, গুলাবদিন নাইবদের পার্টনারশিপ ব্রেক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তামিম ৩০ ও সাকিব ২৩ রানে ব্যাটিং করছেন।
শুরুতে লিটনকে নামানোর ফাটকা কাজে এল না। মুজিব উর রহমানের বলে আউট হয়ে শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন তিনি। শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ নিয়ে সামান্য দ্বিধা ছিল। তবে ডিআরএস নিয়ে দেখা যায় বল মাটি স্পর্শ করার আগেই তালুবন্দি হয়েছিল। ১৬ বলে ১৬ করে আউট লিটন। ক্রিজে এলেন সাকিব আল হাসান। ৭ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৩১ রান।
শুরুতে লিটনকে নামানোর ফাটকা কাজে এল না। মুজিব উর রহমানের বলে আউট হয়ে শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন তিনি। শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ নিয়ে সামান্য দ্বিধা ছিল। তবে ডিআরএস নিয়ে দেখা যায় বল মাটি স্পর্শ করার আগেই তালুবন্দি হয়েছিল। ১৬ বলে ১৬ করে আউট লিটন। ক্রিজে এলেন সাকিব আল হাসান।
সামান্য অদল বদল করে ব্যাটিং লাইন আপ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের সঙ্গে বরাবরের ওপেনিং পার্টনার সৌম্য সরকার নয়। লিটন দাসকে ওপেন করতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। লিটন যথেষ্ট স্বচ্ছন্দে খেলছেও। ৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ১৬ রান তুলে ফেলেছে। এর মধ্যে লিটনেরই স্কোর ১৩!
আফগানিস্তান একাদশেও পরিবর্তন। হজরতুল্লা জাজাই এবং আফতাব আলম নেই প্রথম একাদশে। দৌলাত জারদানকে ডেকে নেওয়া হল। সামিউল্লা শিনওয়ারি প্রথম ম্যাচ খেলবেন বিশ্বকাপে।
মোসাদ্দেক হোসেন এবং মহম্মদ সাইফুদ্দিন প্রথম একাদশে। বাদ গেলেন সাব্বির রহমান ও রুবেল হোসেন। বাংলাদেশের এই দুই পরিবর্তন বাদে বাকি দল একই রয়েছে।
বাংলাদেশঃ মাশরাফি মোর্তাজা, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোসাদ্দেক হোসেন, মহম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহদি হাসান মিরাজ, মাহমুদ্দুল্লা রিয়াধ, মোস্তাফিজুর রহমান।
পরস্পরের মুখোমুখি হয়ে জেতা-হারের নিরিখে এগিয়ে বাংলাদেশ।
টসে জয় আফগানিস্তানের। ডিএল নিয়মের কথা মাথায় রেখে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানের। প্রথমে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ।