নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নেমেই নিয়মবিধি ভাঙলেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম। বেআইনিভাবে ফিল্ডিংয়ে বাধা তৈরি করায় আউট দেওয়া হল তারকা উইকেটকিপার ব্যাটারকে।
প্ৰথমে বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে নেমেছিল। মুশফিকুর রহিম যখন ব্যক্তিগত ৩৫ রানে ব্যাটিং করছিলেন, সেই সময়েই অনভিপ্রেত ঘটনা দেখা যায়। কাইল জেমিসনের একটি বল রক্ষণাত্মকভাবে ডিফেন্স করেছিলেন। বল যখন বাউন্স করছিল সেই সময়েই হাত দিয়ে বল সরিয়ে দেন তিনি। ঘটনা হল, বল বাউন্স করলেও তা মোটেই স্ট্যাম্পের দিকে ধাবমান হচ্ছিল না। তা স্বত্ত্বেও কেন বল হাতেল দিয়ে সরাতে গেলেন, তা নিয়ে একরাশ বিস্ময় ক্রিকেট মহলে।
ঘটনার পরেই অনফিল্ড আম্পায়াররা নিজেদের মধ্যে শলা-পরামর্শ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তৃতীয় আম্পায়ারের হস্তক্ষেপের দাবি করেন। এই এতেই ক্রিকেটের নিয়ম মেনে 'অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড'-এর কারণে আউট দেওয়া হয় মুশফিকুরকে।
মুশফিকুরের আউটের সঙ্গেই বাংলাদেশের ম্যাচে প্রত্যাবর্তনের যাবতীয় সম্ভবনা উড়ে যায়। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে টানছিল মুশফিকুর রহিম এবং শাহাদাত হোসেনের ৫৭ রানের পার্টনারশিপ। একসময় বাংলাদেশ ১০৪/৫ হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর শাহাদাত হোসেনও আউট হয়ে যান।
ঘটনা হল, এই ম্যাচেই এর আগেও বল হাতে লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন মুশফিকুর। সেই সময় একইভাবে বল বাউন্স খেয়ে স্ট্যাম্পের পিছনে চলে গিয়েছিল। সেই সময় শেষ মুহূর্তে ঘটনা বুঝতে পেরেই সংবরণ করেন নিজেকে। তবে দ্বিতীয় বার অদ্ভুতভাবে একই ভঙ্গিতে আউট হলেন তিনি। উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে দলকে ফেললেন বিপদে।
তার আগে বাংলাদেশ টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের দুই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার এবং আজাজ প্যাটেল দুটো করে উইকেট দখল করে লাঞ্চের সময়েই ৮০/৪ করে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিয়েছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্ৰথমবার টেস্ট সিরিজ জেতার দোরগোড়ায় রয়েছে বাংলাদেশ। দুই টেস্টের সিরিজে সিলেটে প্ৰথম ম্যাচেই ১৫০ রানে কিউইদের হারিয়ে বাংলাদেশ ১-০ এগিয়ে রয়েছে।