বাংলাদেশের প্রাক্তন ওপেনার এবং বর্তমান জাতীয় দলের ওয়ান ডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের দাদা নাফিস ইকবাল করোনায় আক্রান্ত হলেন। বাংলাদেশের প্রচারমাধ্যমে এমনটাই জানানো হয়েছে।
ডেইলি স্টার সংবাদপত্রে নাফিস ইকবাল নিজেই জানিয়েছেন, মারণ ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন তিনি। আপাতত চট্টগ্রামে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি।
জাতীয় দলের ডান হাতের ওপেনিং ব্যাটসম্যান ছিলেন নাফিস ইকবাল। ২০০৩ সালে অভিষেক ঘটে তাঁর। তবে ২০০৬ এর পর জাতীয় দলে আর জায়গা পাননি। বাংলাদেশের জাতীয় দলের জার্সিতে ৩৪ বছরের এই তারকা ক্রিকেটার ১১টি টেস্ট এবং ১৬টি ওডিআই খেলেছেন। রানসংখ্যা যথাক্রমে ৫১৮ ও ৩০৯।
গতমাসে বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট কোচ তথা প্রাক্তন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার আশিকুর রহমান করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হন। কীভাবে সংক্রমিত হলেন তিনি, সেই প্রসঙ্গে জানতে গিয়ে আশিকুর রহমান ক্রিকবাজকে বলেছিলেন, “প্রথমে একদমই বুঝতে পারিনি। ভেবেছিলাম টনসিলের ব্যাথা হয়েছে গলায়। গলায় ব্যথা হওয়ার পর ধীরে ধীরে জ্বর বাড়ে আমার। এরপর বুকে ব্যথা শুরু হওয়ায় দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যাই।”
বাংলাদেশে হয়ে প্রথম শ্রেণির ১৫টি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি ১৮টি লিস্ট-এ ম্যাচেও অংশ নিয়েছেন তিনি। ক্রিকেট কেরিয়ার ছয় বছরের। তবে কোনোদিনই সিনিয়র জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অনুর্দ্ধ-১৯ জার্সিতে খেলেছিলেন তিনি।
ক্রিকেট বিশ্বে করোনার হানা এবারই প্রথম নয়। গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি করোনার শিকার হন।
আফ্রিদির আগে পাক ক্রিকেটে একইভাবে সংক্রমিত হন জাফর সরফরাজ এবং তৌফিক উমর। বাড়িতে দুজনই কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটানোর পর সুস্থ হয়ে গিয়েছেন আগেই। গত মাসে আক্রান্ত হন তৌফিক উমর। ১৪ দিন পর পুনরায় পরীক্ষায় অবশ্য রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
ক্রিকেট বিশ্বে এর আগে স্কটল্যান্ডের মজিদ হক এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার সলো এনকোয়ি করোনার হানার মুখে পড়েছিলেন।