তামিম ইকবাল আগেই ভারত সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এবার সেই তালিকায় সম্ভবত শাকিব আল হাসানও। ভারতে বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারকে টি২০ এবং টেস্টে না-ও দেখা যেতে পারে। ৩ তারিখ থেকে দিল্লিতে শুরু সিরিজ। প্রথম টি২০র আগে ৩০ তারিখে দিল্লিতে বাংলাদেশ দলের পা রাখার কথা। তার আগেই দুসংবাদ আছড়ে পড়ল বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
ক্রিকবাজ-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত সফরের আগে বিসিবি-র তরফে চারদিনের প্রস্তুতি ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ক্যাম্পেই মাত্র একটা নেট সেশনে হাজির ছিলেন শাকিব আল হাসান। ভারত সফরের জন্য টি২০ দল এখনও ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ। বিসিবি-র ক্রিকেট অপারেশন-এর প্রধান আক্রম খান সেই ক্রিকেট ওয়েবসাইটে জানিয়েছেন, "অক্টোবরের ২৯-এ দুপুরে ভারত সফরের দল ঘোষণা করা হবে। টেস্ট দল ঘোষণা করার জন্যও আরও বেশ কিছু সময় প্রয়োজন।"
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখন টালমাটাল অবস্থা। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে এগারো দফা দাবিপত্র ঘোষণা করেছিলেন শাকিব, মুশফিকুর সহ শীর্ষস্তরের ক্রিকেটাররা। স্নায়ুযুদ্ধ চলার পরে ক্রিকেটারদের দাবির কাছে নতিস্বীকার করলেও ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের সন্ধি স্থাপিত হলেও শাকিব আল হাসানকে আবার শো-কজ নোটিশ ধরানো হয়েছে বিসিবির চুক্তি লঙ্ঘণ করায়। বিসিবির স্পনসর সংস্থা রবি। বোর্ডের চুক্তি অনুযায়ী ক্রিকেটাররাও সেই টেলিযোগাযোগ সংস্থার বিপণন করতে বাধ্য। তবে শাকিব উলটে প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা গ্রামীণ ফোন-এর ব্র্য়ান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছেন। তারপরেই শোকজ নোটিশ ধরানো হয় ক্রিকেটারকে।
প্রথম আলোয় এক সাক্ষাৎকারে একদিন আগেই পাপন শাকিবের বিষয়ে বলেছেন, "খেলোয়াড়দের আমরা বলেছিলাম ওরা কোনো টেলকোর সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে না। যেন সামনের বছর টেলকোগুলো টিম স্পনসরের দরপত্রে অংশগ্রহণ করে। তবু জেনেশুনে কি সাকিব এই বেআইনি কাজটা করতে পারে? আমি কি যা খুশি তা-ই করতে দেব ওদের! সময়টাও দেখুন। জানুয়ারিতে আমি নতুন স্পনসরের দরপত্রে টেলকোকে আর পাব না। বা এলেও ওরা কম টাকা দিতে চাইবে। এভাবে যে আমাদের ফাঁদে ফেলল, এতে ক্ষতিটা কার? এতে শুধু একজন খেলোয়াড় লাভবান হলো, কিন্তু আমার ক্রিকেট দলের কী হবে?"
পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছিলেন, "ওকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ওর কোনো ব্যাখ্যা থাকলে সেটা আগে শুনি।"
ঘটনাচক্রে, সেই সাক্ষাৎকারেই ভারত সফরে বাংলাদেশ দলে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, "ভারত সফরের এখনো আপনারা কিছুই দেখেননি। দেখেন না কী হয়। আমি যখন বলেছি, এটার মধ্যে একটা ষড়যন্ত্র আছে…। আপনারা আমাকে এত বছর ধরে চেনেন, কখনো ভুল বা মিথ্যা বলেছি? এ রকম কথা যদি আমি বলে থাকি, নিশ্চয়ই এটার মধ্যে কিছু একটা আছে। আমার কাছে তথ্য ছিল যে ভারত সিরিজ বানচাল হবে।"