বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮ গোলে চূর্ণ হল বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে সেমিফাইনালের আগেই মুখোমুখি হয়েছিল টুর্নামেন্টের দুই ফেভারিট দল বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখ। তবে মেসির মিশন মিউনিখের লড়াই যে এতটা একপেশে হয়ে যাবে, তা এই গ্রহের কোনো ফুটবল ভক্ত ই ভাবতে পারেনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সবথেকে লজ্জাজনক হার হজম করতে হল বার্সাকে।
Advertisment
গোটা ম্যাচে কী হতে চলেছে, তার একটুকরো ঝলক দেখিয়ে দিয়েছিলেন টমাস মুলার। মাত্র ৪ মিনিটেই বার্সার জালে বল জড়িয়ে। এরপর বার্সার স্বস্তি জুগিয়ে ডেভিড আলবা আত্মঘাতী গোল করে সমতা ফিরিয়ে দেন স্কোরবোর্ডে।
এখানেই শেষ। বাকিটা স্রেফ বায়ার্ন ঝড়। যে ঝড়ের সামনে খড়কুটোর মত উড়ে গেল মেসি এন্ড কোং। সমতা ফেরার পর দুটো সহজ সুযোগ নষ্ট করে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এর পরেই বায়ার্ন কার্যত অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে।
কার্যত ছেলেখেলার ভঙ্গিতে এর পর বায়ার্নের হয়ে গোল করে যান ইভান পেরিসিচ, সার্জে গ্যাবেরি এবং মুলার। প্রথমার্ধে বিরতির আগেই বায়ার্ন ৪-১ লিড নিয়ে নেয়।
বিরতির পর সুয়ারেজ একটা গোল করলেও বার্সার পক্ষে এই ম্যাচে ফেরা সম্ভব ছিল না। তা হয়ও নি। আলফ্যান্স ডেভিসের থেকে দারুন এসিস্ট পেয়ে বায়ার্নের হয়ে পঞ্চম গোল করেন জশুয়া কিমিচ। এরপর লেওয়ানডস্কি নিজের গোলের খাতা খুলে স্কোরবোর্ড ৬-২ করে দেন।
বার্সার কফিনে শেষ পেরেক পোতেন তাঁদেরই ঘরের ছেলে ফিলিপ কুটিনহো। যিনি এই মরশুমে বার্সা থেকে লোনে খেলছেন বায়ার্নের জার্সিতে। শেষ দিকে জোড়া গোল করে মেসিদের ক্লাবের ইতিহাসে অন্যতম বড় লজ্জা 'উপহার' দিয়ে যান তিনি।
শেষ চারে বায়ার্নের সামনে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি এবং অলিম্পিক লিয়ঁ-র মধ্যে কোনো একটি দল মুখোমুখি হবে। বায়ার্নের প্রাক্তন কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা এখন সিটির বস। সেমিতে গার্দিওলা যদি পুরোনো দলের মুখোমুখি হন, আরও একটি চিত্তাকর্ষক লড়াই দেখতে পারবেন ফুটবল সমর্থকরা।