Kirti Azad on defeating Dilip Ghosh: তিনি এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। বিক্ষুব্ধ বিজেপি হিসাবে পরিচিত কীর্তি আজাদকে সরাসরি বাংলা থেকে নির্বাচনের লড়াইয়ে নামিয়ে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই চাল যে একদম নিখুঁত, তা মঙ্গলবার ভোট গণনার পরেই বোঝা গেল।
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, দাপুটে গেরুয়া নেতা দিলীপ ঘোষ ধরাশায়ী সেই কীর্তি আজাদের কাছে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে। ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৯ ভোটের বিরাট ব্যবধানে জয়ী বিশ্বকাপজয়ী কীর্তি আজাদ।
আরও পড়ুন: ভারতের হেড কোচ হতে চাই! খুল্লামখুল্লা জয় শাহদের বার্তা সৌরভের, কোচ বাছাইয়ে নতুন টুইস্ট
বাংলা তাঁকে ঝুলি ভরে দিল। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭ লক্ষ ৩ হাজার ১৩। দিলীপ পেয়েছেন, ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৬ ভোট। ব্যবধান প্রায় ১৩৬৯৫৭ ভোট। ভাবা হয়েছিল দিলীপের ক্যারিশমার কাছে পাত্তা পাবেন না ভিন রাজ্য থেকে আসা কীর্তি। তবে দিনের শুরু থেকেই কীর্তির কীর্তি বোঝা গেল। শুরু থেকেই লিড নিয়েছিলেন। সময় গড়ানোর সঙ্গেই ব্যবধান বাড়তে থাকে। শেষমেশ বিকেলেই জানা যায় বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে মহীরুহ পতন। হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থীকে হেরে বিদায় নিতে হচ্ছে।
অভূতপূর্ব এই জয় পাওয়ার পরে উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছেন কপিলের দলের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি। এবিপি আনন্দকে বলে দিয়েছেন, "দুই জয় ভিন্ন ধারার। ১৯৮৩-র জয় ছিল দেশের কাছে গর্বের বিষয়। দেশের সকল চেয়েছিলেন ভারত বিশ্বজয়ী হোক। তবে এখানে জনগণের কল্যাণের জন্য আমাকে নিরন্তর পরিশ্রম করে যেতে হবে। দুটো আলাদা জগত। প্রথমটি ছিল মাঠের লড়াই। দ্বিতীয়টা মাঠের লড়াই যা করতে হবে।"
কীর্তি আজাদের আরও সংযোজন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেন, অনেক ভাবনা চিন্তা করেই তা যেন। উনি যখন আমাকে এখানে নিয়ে আসেন, তখন ওঁর বিশ্বাস ছিল এখানকার সবাইয়ের আশীর্বাদ পাব।"
রাজনীতি ময়দানে ফের একবার লোকসভার সদস্য হলেন কীর্তি আজাদ। এর আগে বিহারের দ্বারভাঙ্গা থেকে বিজেপির টিকিটে ২০১৪-র লোকসভায় জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৯-এ বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসের টিকিটে লড়েন ধানবাদ থেকে। তবে সেবার পরাজিত হন। এবার আবার দলবদলেই মিলল সাফল্য। এবার তৃণমূলের টিকিটে ফের লোকসভায় তিনি।
জুনেই বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। এবার সেই জুনেই এল লোকসভায় জয়। বিশ্বকাপজয়ী কীর্তি আপাতত নতুন চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায়, নতুন ময়দানে।