বিশ্ব ফুটবলে ওয়ান্ডার কিড ধরা হয় তাঁকে। স্কিলের বিচ্ছুরণ ঘটানো শিল্পীদের ঐতিহ্যে নতুন সংস্করণ হিসাবে আগেই পরিচিতি পেয়ে গিয়েছেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই জামাল মুশিয়ালা বহুবার জার্মানি এবং বায়ার্ন মিউনিখকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন।
রবিবার রাতে অবিশ্বাস্য গোলে তিনি একই সঙ্গে মনে পড়িয়ে দিলেন মেসি এবং মারাদোনাকে। দলের চতুর্থ এবং শেষ গোলে গোটা বিশ্বের সম্ভ্রম আদায় করে নিলেন তিনি। এওয়ে ম্যাচে উলফসবার্গের বিরুদ্ধে শেষ গোল করে কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিলেন উঠতি এই তারকা।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে মুশিয়ালা ডান দিক থেকে কাট করে বিপক্ষের অর্ধ তছনছ করে দিয়েছিলেন। প্ৰথমে নিজের দুজন মার্কার-কে পরাস্ত করেন। তারপর উলফসবার্গের ব্যাক ফোর ডিফেন্ডারদেরও মাটি ধরিয়ে যান। তারপর উলফসবার্গ কিপার কোয়েন কাস্টলকে চোখে সর্ষেফুল দেখিয়ে গোল করে যান।
আরও পড়ুন: নেইমারের সঙ্গে ঝামেলা মেটানোর ইঙ্গিত! জন্মদিনেই ব্রাজিলিয়ানের মন গলাতে চাইলেন এমবাপে
সবমিলিয়ে চলতি সিজনে বায়ার্ন ও দেশের জার্সিতে ১৪তম গোল হয়ে গেল মুশিয়ালার। পাশাপাশি ৯টি গোলে এসিস্টও করেছেন। সবমিলিয়ে নিজের কেরিয়ারে মুশিয়ালা ১৩৭ ম্যাচে ৩৬ গোল করেছেন। তার নামের পাশে রয়েছে ২০টি এসিস্টও।
মুশিয়ালার ইতিহাস সেরা গোল করা ম্যাচে বায়ার্ন ৪-২ গোলে জয় পেল উলফসবার্গের বিপক্ষে। কিংসলে কোমান জোড়া গোল করলেন। গোল পেয়েছেন ক্যাপ্টেন মুলারও। রবিবারের জয়ের পরে বায়ার্ন বুন্দেশলিগার শীর্ষে নিজেদের অবস্থান আরও পোক্ত করল বায়ার্ন। ইউনিয়ন বার্লিনের (৩৯) থেকে এক পয়েন্টে এগিয়ে বায়ার্ন।
শনিবার বায়ার্ন খেলবে বোখুমের বিপক্ষে। তারপরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর মহারণে বায়ার্ন প্ৰথম পর্বে নামবে পিএসজির বিপক্ষে।
Read the full article in ENGLISH