Advertisment

আমাদের বাঁচান! সৌরভের কাছে চিঠি দিয়ে কাতর আর্জি বোর্ডের 'বৃদ্ধ' স্কোরারদের

বোর্ডের অধীনে স্কোরাররা ম্যাচ পিছু ১০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। তবে করোনা অতিমারীর আবহে তাঁদের উপার্জন ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিরাট কোহলি, শচীন তেন্ডুলকরদের হাজার হাজার রান স্কোরবোর্ডে তুলেছেন তাঁরা। অনিল কুম্বলে থেকে কপিল দেবের শয়ে শয়ে উইকেটের হিসাবও রেখেছিলেন। তবে নিজেদের প্রাপ্তির ব্যালান্স শিট মেলাতে গিয়েই ফাঁপরে পড়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেটকে বছরের পর পর সার্ভিস দেওয়া বোর্ডের স্কোরারদের আর্থিক অবস্থা একদমই সঙ্গীন। অবসর নেওয়া ১৭ জন বোর্ডের সেই স্কোরার সেই কারণেই এবার সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে অবসর কালীন সুযোগ সুবিধার জন্য আর্জি জানালেন।

Advertisment

এই উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার বর্ষীয়ান স্কোরার বিবেক গুপ্তা। তাঁর নেতৃত্বেই ১৭ জন স্কোরার ইমেল মারফত বোর্ড সভাপতি র কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছেন। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বিবেক গুপ্তা জানিয়েছেন, "বোর্ডের তরফে বর্তমানে আম্পায়ারদের অবসরের বয়স সীমা ৫৫ থেকে ৬০ করে দেওয়া হয়েছে। স্কোরারদের যেহেতু শারীরিক পরিশ্রম কম লাগে, সেই কারণেই আমাদেরও অবসরের বয়স সীমা বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। আমাদের পাঠানো ইমেলে আমরা জানিয়েছি তিন দশকের বেশি ভারতীয় ক্রিকেটকে সার্ভিস দিয়েছি। বর্তমানে আমরা অবসরপ্রাপ্ত।"

আরো পড়ুন: KKR-এর নেতা হতে রাজি কার্তিক! টালবাহানার মধ্যেই মনের কথা ফাঁস তারকার

বোর্ডের অধীনে স্কোরাররা ম্যাচ পিছু ১০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। তবে করোনা অতিমারীর আবহে তাঁদের উপার্জন ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ গত মরশুম থেকেই রঞ্জি ট্রফি আয়োজন করতে পারেনি বোর্ড। এমন সময়ে আরো আর্থিকভাবে ধাক্কা খেয়েছেন বোর্ডের নিয়মে অবসরপ্রাপ্ত স্কোরাররা।

নিজের ইমেলে বিবেক গুপ্তা জানিয়েছেন, "আমরা যখন স্কোরারের কাজ শুরু করি, তখন বেতন ছিল একদম অল্প- ম্যাচ পিছু ৫০ টাকা। বোর্ডের সিনিয়র স্কোরাররা অর্থ, যশ, প্রতিপত্তি ছাড়াই এই ধন্যবাদহীন কাজ করে গিয়েছেন বছরের পর বছর, আজীবন। নিজের জীবন দিয়ে দিয়েছেন তাঁরা এই কাজে। কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই। এই স্কোরাররা নিজেদের জীবন কার্যত উৎসর্গ করে দিয়েছেন- অনেকেই হয়ত অগ্রিম অবসর নিয়ে কাজ ছেড়ে দিয়েছেন, স্কোরার বাদে অন্য কাজে নিয়োগ করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় অনেকেই পেশাদারি জীবনে প্রোমোশনের জন্য আবেদনও করেননি। তাই আমাদের আবেদন যাতে সঠিকভাবে আমাদের অবসর ভাতা নির্ধারণ করা হয়। নির্দিষ্ট মাসিক পেনশন অথবা এককালীন বড় অঙ্কের আর্থিক সাহায্য সমেত চিকিৎসা সুবিধা যোগ করা উচিত।"

অবসরপ্রাপ্ত স্কোরারদের আশা তাঁদের আবেদন নিশ্চয় বোর্ড মহানুভবতার সঙ্গে বিবেচনা করবে। এই ১৭ জন স্কোরারদের মধ্যে ঝাড়খণ্ডের এমএস রহমান কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। গত ডিসেম্বরে মৃত্যুর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন বরোদা ক্রিকেট সংস্থার সুনীল লাংদে ও। এই স্কোরারদের মধ্যে তিনজন মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

BCCI Sourav Ganguly
Advertisment