দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ শেষ। ১-১ ফলাফলে শেষ হয়েছে সিরিজ। ভারত এবার নামবে ওয়ানডে সিরিজে। একদিনের সিরিজ শুরু হচ্ছে রবিবার। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডার্সে ভারত প্ৰথম ম্যাচে নামবে প্রোটিয়াজদের বিপক্ষে। সিরিজের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচ হবে যথাক্রমে পোর্ট এলিজাবেথ এবং পার্লে। একদিনের ক্রিকেট সিরিজ থেকে বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। সহ অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও চোটের জন্য জাতীয় দলের বাইরে। এমন অবস্থায় একদিনের সিরিজে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করবেন কেএল রাহুল।
তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ শেষের পরেই ভারতের আসল পরীক্ষা টেস্ট সিরিজে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এবার জিততে মরিয়া ভারতীয় দল। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটি থেকে এর আগে কখনও ভারত টেস্ট সিরিজ জিতে ফেরেনি। সেই টেস্ট সিরিজের জন্যই আপাতত যাবতীয় ফোকাস ভারতের। এই সিরিজ জিতলে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাইকেলে ভারতের অবস্থান আরও পোক্ত হবে।
বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে সিরিজের গুরুত্ব সেই তুলনায় টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে অনেকটাই কম। এই কারণেই নতুন কোচিং স্টাফকে নিয়ে একদিনের সিরিজে খেলতে নামছে ভারত।
একদিনের ক্রিকেট সিরিজের সমান্তরালে চলবে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। ২০-২২ ডিসেম্বর প্রিটোরিয়ায় ভারত টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকান একাদশের বিপক্ষে। এই প্রস্তুতি ম্যাচের সময় টেস্ট দলের সঙ্গেই থাকবেন দ্রাবিড়।
সেই কারণেই ওয়ানডে সিরিজে বেছে নেওয়া হয়েছে এনসিএ-র কোচিং স্টাফকে। অস্থায়ী হেড কোচের ভূমিকা পালন করবেন এনসিএ কোচ সিতাংশু কোটাক। যিনি খেলোয়াড়ি কেরিয়ারে ঘরোয়া ক্রিকেটে সৌরাষ্ট্রের কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সাপোর্ট স্টাফ হিসাবে থাকবেন অজয় রাতরা (ফিল্ডিং কোচ), রাজীব দত্ত (বোলিং কোচ)।
এর আগে দ্রাবিড়ের অনুপস্থিতিতে একাধিকবার লক্ষ্মণকে জাতীয় দলের হেড কোচ করা হয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন ভিত্তিতে। বিশ্বকাপ চলাকালীন লক্ষ্মণ ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসাবে এশিয়ান গেমস থেকে সোনা জিতেছেন। এমনকি ওয়ার্ল্ড কাপের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজেও হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন দ্রাবিড় বিশ্রামে থাকায়। এবার অবশ্য লক্ষ্মণকে হেড কোচ করা হয়নি।