নিজেদের 'হোয়্যার এবাউটস' জানাতে পারেননি। এই কথা শুক্রবারই নাডার তরফে জানানো হয়েছিল। দেশের পাঁচ ক্রিকেটার- লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা, দীপ্তি শর্মা, স্মৃতি মান্ধানা এবং চেতেশ্বর পূজারাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এরপরেই গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এরপরেই নাডা-কে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, টেকনিক্যাল কিছু কারণের জন্য ক্রিকেটাররা নিজেদের হোয়্যার এবাউটস জানাতে পারেননি।
আন্তর্জাতিক ডোপ টেস্টের প্রটোকল অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময়ের হোয়্যার এবাউটস জানাতে ব্যর্থ হলে সেই ক্রীড়াবিদদের দু বছর পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হতে পারে।
নাডা-র ডিরেক্টর নবীন আগারওয়াল জানান, "বিসিসিআইয়ের তরফে বলা হয়েছে, পাসওয়ার্ডের কারণে বিষয়টি জানানো যায়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। যদি, তদন্তের রিপোর্ট যদি সন্তোষজনক হয় তাহলে এটা ফাইলিং ব্যর্থতা বলে গণ্য করা হবে না।"
নাডার অধীনে বিসিসিআই এসেছে এক বছর আগে। তার আগে বোর্ডের নিজস্ব ডোপিং সিস্টেম ছিল। সেই সময়ে অভিযোগ উঠেছিল, টুর্নামেন্ট বাদে অফসিজনে ডোপিং টেস্ট খুবই কম হত।
নাডার আরটিপি-র নথিভুক্ত যে ১১০ জন ক্রীড়াবিদ রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম এই পাঁচ ক্রিকেটার। বিশ্ব ডোপিং সংস্থা ওয়াডা র নিয়ম অনুযায়ী, নথিভুক্ত ক্রীড়াবিদদের তিন মাস অন্তর নিজেদের হোয়্যার এবাউটস জানাতে হয়। নিজস্ব ডেটা বেস সিস্টেমে এই তথ্য প্রতি তিন মাস অন্তর জমা করে ওয়াডা।
জানা গিয়েছে, ক্রিকেটাররা সরাসরি নিজেদের হোয়্যার এবাউটস সিস্টেমে আপডেট করেন না। বিসিসিআইয়ের ডোপিং বিরোধী আধিকারিক অভিজিৎ সালভি ওয়াডার সিস্টেমে এই তথ্য আপলোড করেন। এই পাঁচ ক্রিকেটার ছাড়াও ৩৬জন অন্যান্য এথলিট এই তথ্য নির্দিষ্ট সময়ে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। লকডাউনের কারণেই নাকি এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে, এমনটাই বলা হচ্ছে।