রাহুল জোহরি নির্দোষ। জানিয়ে দিল বিসিসিআই। #মিটু ইস্যুতে নাম জড়িয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার সিইও জোহরির। টুইট করে এক মহিলা এক মহিলা জোহরির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গড়েছিল কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রে (সিওএ)। সেই কমিটিই জোহরিকে ক্লিনচিট দিয়ে দিল এদিন। ফের নিজের দায়িত্ব শুরু করতে পারবেন জোহরি। আর কোনও নিষেধাজ্ঞা রইল না তাঁর। গত তিন সপ্তাহ ধরে বোর্ডের পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। আগামিকাল থেকেই অফিসে বসতে পারবেন তিনি।
সিওএ-র গঠিত তদন্ত কমিটি এদিনই বোর্ডের সদর দফতরে গিয়ে সিওএ-কে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলে জোহরির বিষয়ে। সেই ছবি টুইট করেছিল বিসিসিআই। এই কমিটিতে ছিলেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারক রাকেশ শর্মা। দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন বর্খা সিং এবং নারী অধিকারের পক্ষে সওয়াল করা আইনজীবী বীনা গৌড়া। এই প্যানেল প্রথমে অতিরিক্ত তিন দিন চেয়েছিল। তাঁরা এই ঘটনায় প্রাপ্ত জবানবন্দির প্রতিলিপি পাঠাতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: জোহরি ইস্যুতে অথৈ জলে বিসিসিআই
জোহরির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর থেকে সিওএ কমিটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। সিওএ প্রধান বিনোদ রাই জোহরির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। চেয়েছিলেন তাঁকে এই বিষয়ে কিছু বলার একটা সুযোগ করে দিতে। কিন্তু ডায়ানা এডুলজি সরাসরি জোহরির পদত্যাগই দাবি করেছিলেন। টুইটারে (@PedestrianPoet) পেডেস্ট্রিয়ান পোয়েট নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক মহিলা জোহরির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন। কাজের সুযোগ দেওয়ার বিনিময়ে জোহরি তাঁর সঙ্গে এই অভব্যতা করেছেন বলেই অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এই মর্মে এক সপ্তাহের মধ্যে জোহরিকে জবাবদিহি করতে বলেছিল বোর্ডের কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সকে (সিওএ)। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেই জোহরি জবাব দিয়েছিলেন সিওএ-কে। তারপরেই বিনোদ রাইরা তদন্ত কমিটি গঠন করে।
জোহরির বিরুদ্ধে যদিও আরও দু’টি অভিযোগ রয়েছে। অন্য এক মহিলাও বোর্ডের সিইও-র বিরুদ্ধে এই একই যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। বিসিসিআই-এর মধ্যেও কিন্তু জোহরিকে নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। জোহরি তাঁর মহিলা সহকর্মীদের সঙ্গে ঠিকঠাক ব্যবহার করেন না বলেই শোনা যায়। ২০১৬ সালে বিসিসিআই-এর সিইও পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন জোহির। বোর্ডের অপারেশনস, স্টেকহোল্ডার ম্যানেজমেন্ট ও ক্রিকেট প্রমোশনের স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে ক্রিকেটকে মসূণভাবে চালানোর দায়িত্ব রয়েছে তাঁর ওপর। বিসিসিআই-তে আসার আসে ডিসকভারি নেটওয়ার্কের দক্ষিণ এশিয়ার এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার পদে বহাল ছিলেন।