BCCI IPL surplus income: আইপিএল আয়োজন করে বিপুল অর্থ রোজগার করেছে বিসিসিআই। ২০২৩ সালের আইপিএল আয়োজন করে বিসিসিআইয়ের রোজগার ৫,১২০ কোটি টাকা। ২০২২ সালের তুলনায় এই রোজগার বেড়েছিল ১১৬%। ২০২২ আইপিএল মরশুমের পর বিসিসিআইয়ের রোজগার ছিল ২,৩৬৭ কোটি টাকা। কিন্তু, ২০২৩ থেকে নতুন মিডিয়া স্বত্ব এবং স্পনসরশিপ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আয় কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
বিসিসিআইয়ের ২০২২-২৩ বর্ষের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তা থেকে এই আয়বৃদ্ধির কথা জানা গিয়েছে। আর, সেই রিপোর্টই প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। যা থেকে জানা গিয়েছে, বিসিসিআইয়ের রোজগার আগের মরশুমের চেয়ে ২০২৩-এ বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৮%। যার পরিমাণ ১১,৭৬৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি, ব্যয়ও পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। তা বেড়েছে ৬৬%, অর্থাৎ ৬,৬৪৮ কোটি টাকা।
এর জন্য মূলত বিসিসিআইয়ের মিডিয়া স্বত্ব এবং স্পনসরশিপই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। এই মিডিয়া সত্ব এবং স্পনসরশিপ ২০২৭ পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের সঙ্গে থাকার কথা। যার শুরুটা হয়েছিল ২০২৩ সালে। আর, এসবের দৌলতে বিসিসিআই রেকর্ড লাভের মুখ দেখেছিল। এর মধ্যে শুধুমাত্র মিডিয়া স্বত্ব থেকেই বিসিসিআইয়ের বার্ষিক আয় হয়েছে ৪৮,৩৯০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- গম্ভীরের চেয়ারে এবার জাহির খান! তোলপাড় ফেলে দেওয়া আপডেটে ব্লকবাস্টার ভারতীয় ক্রিকেট
বিসিসিআইয়ের আইপিএল দেখানোর টেলিভিশন স্বত্ব পেয়েছে ডিজনি স্টার। তারা বার্ষিক ২৩,৫৭৫ কোটি টাকায় ওই স্বত্ব পেয়েছে। অন্যদিকে ভায়াকম ১৮-এর মালিকানাধীন জিও সিনেমা বার্ষিক ২৩,৭৫৮ কোটি টাকায় ২০২১ সালে ম্যাচ দেখানোর ডিজিটাল স্বত্ব পেয়েছে। আইপিএলের টাইটেল স্পনস্বরশিপ পেয়েছে টাটা সন্স। তারা বার্ষিক ২,১০০ কোটি টাকায় পাঁচ বছরের জন্য এই স্বত্ব কিনেছে। টাটা ছাড়াও মাইসার্কেল ১১, রুপে, অ্যাঞ্জেলওয়ান, সিয়েট, ব্যান্ডওয়াগনের মত নানা সংস্থা আছে সহযোগী স্পনস্বরের ভূমিকায়। তারা এজন্য বিসিসিআইকে দিয়েছে বার্ষিক ১,৪৮৫ কোটি টাকা।
২০২২ আইপিএলে বিসিসিআইয়ের মিডিয়া স্বত্বের মূল্য ছিল ৩,৭৮০ কোটি টাকা। সেটাই ২০২৩ সালে ১৩১% বেড়ে হয়েছে ৮,৭৪৪ কোটি টাকা। শুধু এটাই নয়। ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি হিসেবে ২০২৩ সালে বিসিসিআইয়ের আয় হয়েছে ২,১১৭ কোটি টাকা। তার আগের বছর পরিমাণটা ছিল ১,৭৩০ কোটি টাকা। আর স্পনস্বরশিপ থেকে আয় আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে ২% বেড়েছে। ২০২২ সালে পরিমাণটা ছিল বার্ষিক ৮২৮ কোটি টাকা। আর, সেটা ২০২৩ সালে হয় ৮৪৭ কোটি টাকা।