বোর্ড থেকে পদচ্যুত হতে হয়েছে। সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ইচ্ছা থাকলেও আরও একটা টার্ম প্রেসিডেন্ট পদে থাকা হল না। স্ত্রী কিছুদিন আগেই চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। জীবনের এমন টালমাটাল সময়েই সৌরভের জন্য বড় সুখবর বয়ে আনল বন্ধন ব্যাঙ্ক। বন্ধন ব্যাঙ্কের ব্র্যান্ড এম্বাসাডর হলেন তিনি।
বোর্ডে মেয়াদ শেষ হলেও সৌরভের বিজ্ঞাপন জগতে গ্রহণযোগ্যতা যে একটুও কমেনি, তা প্রমাণ করে দিল বন্ধন ব্যাঙ্ক। দেশের ৩৬ রাজ্যের মধ্যে ৩৪ টিতেই বন্ধন ব্যাঙ্কের উপস্থিতি রয়েছে। গোটা দেশে ব্যাঙ্কিং আউটলেটের সংখ্যা ৫৬৪৪টি।
আরও পড়ুন: একদিনে মোদি-আম্বানি হওয়া যায় না! বোর্ড-বিদায়ের পর প্ৰথমবার মুখ খুললেন ‘অভিমানী’ সৌরভ
আর বন্ধন ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে সিইও এবং এমডি চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেছেন, "খেলার প্রতি দূরদর্শিতার জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সফল ক্যাপ্টেন। আমরা নিশ্চিত যে সৌরভের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধায় আরও বেশি নজরে আসবে আমাদের ব্যাঙ্ক। ব্র্যান্ডও নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। যাতে সার্বিকভাবে আমাদের উন্নয়ন ঘটবে। তাছাড়া সৌরভের সঙ্গে এই পার্টনারশিপে উপভোক্তাদের সঙ্গে আরও যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হবে।"
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "ব্যক্তিগতভাবে আমি প্ৰথমে ক্যাপ্টেন এবং প্রশাসক হিসাবে যে দর্শনে বিশ্বাসী তার সঙ্গে বন্ধন ব্যাঙ্কের সামঞ্জস্য রয়েছে।"
আরও পড়ুন: বোর্ডে সৌরভকে ‘পিছন থেকে ছুরি মারলেন’ ইনিই! মহারাজকে ‘হেনস্তা’ করার মাস্টারমাইন্ডকে চিনুন
বোর্ড থেকে অপসারণের পর প্ৰথমবার মুখ খুলে এই অনুষ্ঠানেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, “প্রশাসক হিসাবে কাজ করেছি। এবার অন্য কিছু করব। ইতিহাসে কখনও বিশ্বাস করতাম না। তবে অতীতে ধারণা ছিল পূর্বাঞ্চলে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার জন্য প্রতিভার অভাব রয়েছে। একদিনে কেউ আম্বানি, নরেন্দ্র মোদি হয়ে যান না। মাসের পর মাস বছরের পর বছর পরিশ্রম করে সেই জায়গায় পৌঁছতে হয়।”
সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “জীবনের সেরা সময় কাটিয়েছি জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময়। বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হয়েছি। এবার আরও বড় কিছু করব। চিরকালের জন্য কেউ ক্রিকেটার, প্রশাসক থাকতে পারে না। দুই ক্ষেত্রেই দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে।”