New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/04/Cricket.jpg)
ক্রিকেট থেকে বাকি জীবনের জন্য নির্বাসিত হলেন এমপি পান্ডভে এবং জিএস ওয়ালিয়া। দুজনের বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
বোর্ডের প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ ও যুগ্ম সচিব এমপি পাণ্ডভে এবং পাঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার সচিব ও একসময়ের টিম ইন্ডিয়ার ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা জিএস ওয়ালিয়াকে আজীবনের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হল। পাঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার ওম্বুডসম্যান এবং এথিক্স অফিসার এইচ এস ভাল্লা এই নির্দেশ দিয়েছেন। মোহালির রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সচিব গগনদীপ সিং ধালিওয়াল দুই কর্তার বিরুদ্ধে তহবিল তছরূপের অভিযোগ আনেন।
পাণ্ডভে এবং ধালিওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাতে সাফ লেখা হয়েছে, "স্পষ্টতই এখানে স্বার্থ সংঘাতের বিষয় রয়েছে। যাঁরা পিসিএ (পাঞ্জাব ক্রিকেট এসোসিয়েশন)-র অফিস বিয়ারার্স ছিলেন তাঁরাই এমসিএ (মোহালি ক্রিকেট এসোসিয়েশন)-র পদাধিকারী হন। ফান্ড তাঁদের মাধ্যমেই রিলিজ করা হয়েছে। এমসিএ পিসিএ-র অধীনস্থ কোনও সংস্থা নয় তা জানার পরও ফান্ড এমসিএ-তে পাঠানো হয়েছে। এমনকি পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের কাছেও এমসিএ-র বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ক্রিকেট থেকে আজীবনের জন্য দুজনকে নির্বাসিত করা হল।"
আরও পড়ুন: ক্রিকেটের জন্য একসময় ছেলেকে মারধোর করতেন! সেই পুত্রের কীর্তিতেই গর্বিত নাপিত-বাবা
পাঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার ৪৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী মোহালি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার তরফে অভিযোগ জানানো হয়, মোহালি ক্রিকেট এসোসিয়েশনের জিএস ওয়ালিয়া এবং এমপি পান্ডভে পাঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার তহবিল নয়ছয় করেছেন। পিসিএ-র অধীনস্থ কোনও সংস্থা না হওয়া সত্ত্বেও ফান্ড পাঠানো হয়েছিল।
এরপরে অর্ডারে বলা হয়েছে, "পিসিএ-র রেকর্ড খতিয়ে দেখার পরে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সচিব, যুগ্ম সচিব ছিলেন। একইসঙ্গে এমসিএ-র সক্রিয় সদস্যও হন। এমসিএ পিসিএ-র নথিভুক্ত সংস্থা না হওয়া সত্ত্বেও খেলার মাঠ, ওয়াশরুম, মোহালি স্টেডিয়াম, এমনকি অফিস ব্যবহার করার জন্য ফান্ড নেওয়া হয়। এতেই স্পষ্ট এমসিএ বালির দুর্গ গড়ার কাজ করছিল, যা ভেঙে পড়ারই ছিল।"
এই অর্ডারকে স্বাগত জানিয়ে ধালিওয়াল বলেছেন, "নথি অনুযায়ীই আমরা তা ব্যবহার করেছি। ১৯৯৭ সালে এমসিএ গঠিত হয়। মোহালি আবার পাঞ্জাবের জেলা হিসাবে মান্যতা পায় ২০০৬-এ। এমসিএ এবং পিসিএ-র মধ্যে কোনও সংযুক্তি নেই। পান্ডভে এবং ধালিওয়াল দুজনে এতদিন দুই সংস্থা সমান্তরালে নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। এই অর্ডার শেষমেশ আসায় আমরা আনন্দিত। এখন পিসিএ তহবিল তছরুপের জন্য তদন্তকারী কমিটি গঠন করে তদন্ত চালাবে আশা করি।"
পিসিএ-র প্রাক্তন সচিব জিএস ওয়ালিয়া ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "পিসিএ সিইও দীপক শর্মাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা উচিত। এই বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করব না।"