লকডাউনে আর্থিক ক্ষতির শিকার কেবল আমজনতাই হয়নি। বিশ্বের ধনীতম ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের তরফে তারকা ক্রিকেটারদের বেতনও আটকে রয়েছে। জানা গিয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে বেতনহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন কোহলি-রোহিত শর্মা সহ বোর্ডের ২৭ জন চুক্তিভিত্তিক ক্রিকেটার। চার মাস অন্তর ক্রিকেটাররা প্রাপ্য বেতন পেয়ে থাকেন। সেই হিসাবে ডিসেম্বর থেকে জাতীয় ক্রিকেট দল যে দুটো টেস্ট, আটটা টি২০ এবং নটা ওডিআই ম্যাচ খেলেছে, সেই টাকা এখনও বকেয়া রয়ে গিয়েছে।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের বেতন দিতে বার্ষিক বিসিসিআইয়ের খরচ হয় ৯৯ কোটি টাকা। বোর্ডের কমপক্ষে আটজন ক্রিকেটার ইন্ডিশন এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন গত দশ মাস বেতন পাননি তারা। এই বিষয়ে অরুণ ধূমলকে ফোন করা হলে তার জবাব মেলেনি।
আরও পড়ুন
কামড়ালেও বোঝা যাবে না, মৃত্যু ঘটবে নিঃশব্দে, গ্রামে-গঞ্জের এই সাপ চিনুন
বিসিসিআইয়ের তরফে শেষবার ব্যালান্স শিট প্রকাশ করা হয়েছিল ২০১৮-র মার্চে। সেখানে বলা হয়েছে বোর্ডের নগদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স এর পরিমাণ ৫৫২৬ কোটি টাকা। ফিক্সড ডিপোজিটের পরিমাণ ২৯৯২ কোটি টাকা। ২০১৮ র এপ্রিলে বোর্ডের সঙ্গে স্টার টিভির সম্প্রচার স্বত্ব অনুযায়ী চুক্তির পরিমাণ ৬১৩৮ কোটি টাকা।
ঘটনাচক্রে, গত ডিসেম্বর থেকে বোর্ডের কোনো ফিনান্সিয়াল অফিসার নেই। গত মাস থেকে ফাঁকা হয়েছে জেনারেল ম্যানেজার এবং সিইও পোস্ট-ও। বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী, সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সচিব জয় শাহের মেয়াদ ফুরিয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ টালমাটাল অবস্থায় বিসিসিআই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় জাতীয় দলের এক তারকা জানালেন, বোর্ডের তরফে চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের জানানো হয়েছে, তিন মাস অন্তর বেতনের জন্য ইনভয়েস সংগ্রহ করতে। কিন্তু এবার কিছুই জানানো হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই ক্রিকেটার জানালেন, "বেতনের বিষয়ে কী হবে, তা নিয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই আমাদের। শেষবার ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য বেতনের ইনভয়েস সংগ্রহ করতে বলা হয়। সেই টাকাও জমা পড়েনি।"
শুধু জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররাই নন। বয়সভিত্তিক ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদেরও বেতন নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা রয়েছে। যদিও বিসিসিআইয়ের ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে প্রত্যেক রাজ্য সংস্থাকে বেতন বাবদ ১০ কোটি করে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Read the full article in ENGLISH