শনিবার ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার রোহিত শর্মাকে সম্মানীয় রাজীব গান্ধী খেল রত্ন পুরস্কার ২০২০-র জন্য মনোনীত করল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। পাশাপাশি অর্জুন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন পেসার ইশান্ত শর্মা, রোহিতের ওপেনিং জুটি শিখর ধাওয়ান, এবং ভারতীয় মহিলা দলের সদস্য দীপ্তি শর্মা। এই মর্মে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেছে বিসিসিআই।
একটিই একদিনের বিশ্বকাপে পাঁচটি সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েছেন রোহিত। ২০১৯ সালে তিনি আইসিসি ওডিআই ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার ঘোষিত হন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে আরও দুটি রেকর্ড - প্রথম টেস্টেই দুটি সেঞ্চুরি, এবং কুড়ি-কুড়ি ক্রিকেটে চারটি সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যান।
অন্যদিকে কম যান না শিখরও। লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেকেই দ্রুততম সেঞ্চুরি করার রেকর্ড রয়েছে তাঁর। এবং বিশ্বে তিনিই একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি পরপর দু'বার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে 'গোল্ডেন ব্যাট' সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যান এত দ্রুত ২,০০০ এবং ৩,০০০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছন নি; এর পরের দুই মাইলফলক - ৪,০০০ এবং ৫,০০০ রানে দ্বিতীয় দ্রুততম গতিতে পৌঁছেছেন তিনি।
ওদিকে ইশান্ত শর্মা ভারতের বোলিং আক্রমণ সামলাচ্ছেন দীর্ঘদিন, মূলত টেস্টে। এশিয়ার বাইরে কোনও ভারতীয় বোলার তাঁর চেয়ে বেশি উইকেট পান নি।
অল-রাউন্ডার দীপ্তি শর্মা বর্তমানে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বাধিক ব্যক্তিগত স্কোরের অধিকারি, এবং একদিনের ক্রিকেটে একমাত্র ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার যিনি একটি একদিনের ম্যাচে ছয় উইকেট নিয়েছেন।
বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "অনেক তথ্য বিচার করে তবেই মনোনয়ন স্থির করি আমরা। রোহিত শর্মা ব্যাটসম্যান হিসেবে নতুন মাপকাঠি গড়ে দিয়েছেন, এবং ছোট ফরম্যাটে এমন সব স্কোর করেছেন, যা অচিন্তনীয় ছিল এখন পর্যন্ত। আমরা মনে করি তিনি তাঁর নিষ্ঠা, আচরণ, ধারাবাহিকতা, এবং নেতৃত্বের জন্য খেল রত্ন সম্মানের যোগ্য। ইশান্ত শর্মা টেস্ট দলের সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য, এবং ভারতের দীর্ঘদিন এক নম্বর টেস্ট দল থাকার পেছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বহু চোট আঘাত বারবার কাটিয়ে উঠে ময়দানে নেমেছেন তিনি।
"শিখর ধারাবাহিকভাবে টপ অর্ডারে রান পেয়ে গেছেন, এবং আইসিসি টুর্নামেন্টগুলিতে তাঁর পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্য। দীপ্তি একজন প্রকৃত অল-রাউন্ডার, এবং দলের প্রতি তাঁর অবদান অসামান্য।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন