লকডাউন এখনো শেষ হয়নি। এর মধ্যেই অনুশীলনে নেমে পড়েছিলেন শার্দুল ঠাকুর। টিম ইন্ডিয়ার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অনুশীলনে নেমে পড়ায় জাতীয় দলের তারকা পেসার শনিবার শিরোনামে উঠে এসেছিলেন।
শার্দুলের মাঠে অনুশীলনে নেমে পড়ায় অবশ্য বেশ বিরক্ত বিসিসিআই। বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা না করেই অনুশীলন শুরু করে দেওয়ায় বিতর্কে শার্দুল।
চতুর্থ দফার লকডাউনের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্রীড়াবিদরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে আলাদাভাবে ও অনুশীলন শুরু করতেও পারেন। তবে শার্দুল বোর্ডের সবুজ সঙ্কেত না পেয়েই অনুশীলনে নামেন।
সংবাদসংস্থাকে বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, "বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসেবে শার্দুল এমনটা করতেই পারে না।" বর্তমানে মুম্বইতেই রয়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং শ্রেয়স আইয়ার। লকডাউন শিথিল হয়ে গেলেও কেউই স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুশীলনে করেননি।
এমনিতেই মহারাষ্ট্র এর অবস্থা ভীষণই খারাপ। কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা মহারাষ্ট্রেই বেশি। এর মধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা কয়েকহাজার ছাড়িয়েছে শুধু মহারাষ্ট্রেই। নতুন কেসের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। বিরাট ও রোহিত যেখানে রয়েছেন সেই এলাকার দেশের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা।
জাতীয় দলের সমাজে যোগ দিতে না পারলেও কোহলি অবশ্য ব্যক্তিগত উদ্যোগেই নেমে পড়েছেন মাঠে। ব্যাট বল না নিয়ে স্কিল বেসড ট্রেনিং করতে দেখা গিয়েছে কোহলির বাড়ির কমপ্লেক্সেই।
মিডিয়া সূত্রে জানানো হয়েছে, পালঘরের দাহানু তালুকা ডিস্ট্রিক্টস স্পোর্টস এসোসিয়েশনের মাঠের নেট সেশনে যোগ দিয়েছিলেন শার্দুল। তারপরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিডিয়াম পেসার বলেন, তিনি আইসিসির সুপারিশ মেনে বলে থুতু ব্যবহার করেননি।
এই বিষয়টিই ভালোভাবে নেয়নি বিসিসিআই। দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার অন্দরের বক্তব্য, পালঘর রেড জোন এলাকা না হলেও, সেখানে বোর্ডের অনুমতি না নিয়েই অনুশীলনে যোগ দিয়ে খুব একটা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেননি শার্দুল। বিসিসিআই ক্রিকেটারদের নিরাপত্তায় যোগ দিচ্ছে। এমন সময়ে এই কাণ্ড মোটেই ভালো নয়।