ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে মঙ্গলবারেই বার্তা দেওয়া হয়েছিল, ভারতের বিরুদ্ধে ফাঁকা স্টেডিয়ামে হলেও পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে প্রস্তুত তারা। তবে বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হলো, এখনই এই বিষয়ে কথা বলা কিছুটা অপরিমনস্কতার পরিচয়। বরং অনেককিছুই নির্ভর করছে সেপ্টেম্বর অক্টোবরে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উপর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বিসিসিআইয়ের কর্তা জানালেন, "এখনও এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করিনি আমরা। সামনে বিশ্বকাপ রয়েছে। এবং অস্ট্রেলিয়া আপাতত লকডাউনে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী হয়, সেদিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি। তারওপর নির্ভর করবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ভাগ্য।"
করোনা সংক্রমণ বিশ্বের অন্যান্য খেলার মতই ক্রিকেট অর্থনীতিতে বড়সড় আঘাত হেনেছে। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মত আইসিসি ইভেন্ট বাতিল হলে প্রত্যেক দেশের ক্রিকেট বোর্ড ৭-৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি করবে। তবে টুর্নামেন্টের আয়োজক হওয়ায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা বেশি। এমন অবস্থার কথা বিবেচনা করেই ভারত সিরিজ খেলার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। যাতে ভারত সিরিজ খেলে সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যায়।
আইসিসির বর্তমান সূচি অনুযায়ী বিশ্বকাপের পরেই অস্ট্রেলিয়ায় বিরুদ্ধে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার কথা ভারতের। তবে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্যই অতিরিক্ত আরো একটি টেস্ট খেলার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই অস্ট্রেলিয়ার তরফে বিসিসিআইয়ের কাছে এই আর্জি রাখা হয়।
ঘটনা হল, বর্তমানে টিম ইন্ডিয়া ইংল্যান্ড বাদে অন্য কোনো দেশের সঙ্গেই পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে না। বিসিসিআই যদিও এই অতিরিক্ত টেস্টের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সবুজ সংকেত দেয়নি।
এদিকে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কার্যনির্বাহী কেভিন রবার্টস জানালেন, সূচি অনুযায়ী টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের মরিয়া তাঁরা। ভিডিও কনফারেন্সে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে, ক্লোজড ডোরেও বিশ্বকাপ আয়োজন করা হতে পারে।
ক্রিকেট সম্প্রচারের জন্য চ্যানেল সেভেন ও ফক্স স্পোর্টসের সঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ১.২ বিলিয়ন চুক্তি রয়েছে। এমন অবস্থায় ক্রিকেট সূচিতে ব্যাঘাত ঘটলে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হতে পারে চলতি মরশুমে। ক্ষতির পরিমাণ কমাতে ক্রিকেট সিরিজ আয়োজনের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের কাছেও পে কাটের আর্জি জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই।