Advertisment

কোহলি বনাম রোহিতের 'ঝামেলা' কতটা গুরুতর, জবাব দিল বোর্ড

বিশ্বকাপ বিপর্যয় পর থেকেই সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যমে লেখা হয়েছিল দুই মহাতারকার দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট। টিম বন্ডিং চূড়ান্ত খারাপ পর্যায়ে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Ravi Shastri clears air on alleged Virat Kohli-Rohit Sharma rift

বিরাট বনাম রোহিত ইস্য়ুতে মুখ খুললেন শাস্ত্রী, জানালেন ঠিক কী হয়েছিল তাঁদের মধ্য়ে

বিরাট কোহলি বনাম রোহিত শর্মা! তারকা দুই ক্রিকেটারের সম্পর্কের জল্পনা নিয়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা এখন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরমহলে। সত্যিই কি দুই তারকার লেগে গিয়েছেন নিজেদের মধ্যে। ঠাণ্ডা যুদ্ধের ফলেই কী ভারতীয় টিমের বিশ্বকাপ বিপর্যয়। এমন গুজবের মধ্যেই এবার বোর্ড কর্তা জানিয়ে দিলেন, পুরোটা অসত্য। কোনও কিছুই হয়নি।

Advertisment

বিশ্বকাপ বিপর্যয় পর থেকেই সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যমে লেখা হয়েছিল দুই মহাতারকার দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট। টিম বন্ডিং চূড়ান্ত খারাপ পর্যায়ে। দুই তারকার লবি নাকি বেশ প্রকট হয়ে উঠেছে বিশ্বকাপের মাঝেই।

আরও পড়ুন কোহলি-রোহিতের ঠাণ্ডা যুদ্ধেই বিপর্যয়, টিম ইন্ডিয়ায় ফাঁস বিরাটের ‘অনাচার

এর মধ্যেই বোর্ড কর্তা জানিয়ে দিলেন, "পুরোপুরি ভ্রান্ত খবর পরিবেশন করা হচ্ছে। জানানো হচ্ছে, দুই ক্রিকেটারের সংঘাত হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে। এটা একদমই অনভিপ্রেত।" অর্থাৎ বোর্ডের তরফে সরাসরি নাকচ করে দেওয়া হচ্ছে এই প্রতিবেদনকে। কেন বোর্ড এই যুক্তি মানছে না, তা-ও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। সেই কর্তাই জানিয়েছেন, "কোন ক্রিকেটার অন্য ক্রিকেটারকে দূরে ঠেলতে চাইবে। এটা তারাই করবে, যাঁরা কোনওদিন ক্রিকেটটাই খেলেননি। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরেই কিছু প্রচারমাধ্যমের প্রয়োজন ছিল জম্পেশ শিরোনামের। যেভাবে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিষয় ঘুরিয়ে পরিবেশন করছেন, তা রীতিমতো হতাশার।"

সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই টিম ইন্ডিয়ার অন্দরমহলেও নাকি বেশ প্রভাব পড়েছে। কেমন সেই প্রভাব? জানানো হয়েছে, দলের বেশ কিছু সিনিয়র মেম্বার এই ঘটনায় বেশ বিরক্ত।

বিশ্বকাপের পরেই এক হিন্দি সেই প্রচারমাধ্যমে জানানো হয়েছিল বিস্ফোরক তথ্য। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দলের মধ্যেই রয়েছে দুটো দল। কিছু ক্রিকেটারের আনুগত্য বিরাট কোহলির দিকে। বাদ বাকি ক্রিকেটার আবার রোহিতকে নেতা হিসেবে চাইতেন। কোহলির বিপক্ষ লবির একটাই অভিযোগ, দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়ে কোহলি-শাস্ত্রী অনেক সময়েই বাকিদের না জানিয়ে সারপ্রাইজ ডিসিশন নিত। এতে বাকি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোহলি-শাস্ত্রীর ক্রমাগত দূরত্ব বেড়েছে।

পাশাপাশি বলা হয়েছিল, বিশ্বকাপের আগে আম্বাতি রায়াডুর পরিবর্তে চার নম্বরে বিজয়শঙ্করকে নেওয়ার সময়ে একই ভাবে কোহলি-শাস্ত্রী প্রভাব খাটিয়েছিলেন নির্বাচকদের উপরে। কোহলির এই নিরঙ্কুশ আধিপত্যের জন্য আবার সেই প্রতিবেদনে দায়ী করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসকমণ্ডলির চেয়ারম্যান বিনোদ রাইকে। বিনোদ রাই-ই কোহলির আসল ‘শক্তি’। অনেকটা ধোনি-শ্রীনি জুটির মতোই কোহলি-রাই জুড়ি। বিনোদ রাইয়ের অদৃশ্য হাতের জন্যই কোহলি-কুম্বলে ঝামেলার সময় অ্যাডভান্টেজ ছিলেন বিরাট।

তবে বোর্ডের তরফে এই প্রতিবেদনের যুক্তি খারিজ করে দেওয়া হলেও বিশেষজ্ঞ মহল প্রশ্ন তুলছে, দুই তারকার সম্পর্ক যদি এতই মসৃণ হত, তাহলে এত ঢাক গুড়গুড় কেন! প্রকাশ্যে বিবৃতিই দিতে পারতেন দু-জনে। যা রটে তার পুরোটা না হলেও কিছুটা তো বটেই!

Virat Kohli BCCI Rohit Sharma
Advertisment