বছরের প্রথম ম্যাচই ভেস্তে গিয়েছে বৃষ্টিতে। বৃষ্টি থামলেও খেলা শুরু করা যায়নি। তারউপরে অপেশাদারিত্বের নমুনা মিলেছে আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে। হেয়ার ড্রায়ার, ইস্ত্রি দিয়েই পিচ শুকনো করার কাজ চালিয়ে গিয়েছেন মাঠকর্মীরা। যা নিয়ে একপ্রস্থ অপদস্থ হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
এরকম পরিস্থিতিতে কড়া শাস্তির পথে হাঁটছে বিসিসিআই। ইতিমধ্যেই পিচ কিউরেটরের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে বিসিসিআইয়ের তরফে। সংবাদসংস্থা আইএএনএস-এর কাছে বোর্ডের এক আধিকারিক সাফ জানিয়েছেন, বিসিসিআইয়ের নতুন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা (আসাম)-র কর্তাদের মধ্যে অভিজ্ঞতার অভাব ছিল। পাশাপাশি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ঘাটতি ছিল পিচ কিউরেটর আশিস ভৌমিক এবং বিসিসিআই সিইও রাহুল জহুরি-ও।
সবমিলিয়ে গুয়াহাটিতে ম্যাচ পণ্ড হওয়ার পরে বিসিসিআইয়ের অন্দরমহলেই কলহ শুরু হয়েছে। বোর্ডের সেই কর্তা জানিয়েছেন, "লোধা কমিটির রায় মেনে সংশোধনের পরে বিভিন্ন ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের কাছে এই বিষয়গুলি শিক্ষণীয়। কোনও সংস্থাই পরিকল্পনা মেনে সাফল্যের জন্য সুযোগ পায়নি আগে।"
এর পাশাপাশি সেই কর্তা কাঠগড়ায় তুলেছেন বোর্ডের সিইও রাহুল জহুরিকে। তিনি বলেছেন, "ক্রিকেট সংস্থাগুলির অভাব-অভিযোগ শোনার সময়ই হয়নি। আমার মনে হয় এর অনেকখানি দোষ বিসিসিআইয়ের কিউরেটর আশিস ভৌমিক এবং সিইও-র। যাঁর আগেভাগেই বোঝা উচিত ছিল কোথায় সমস্যা হতে পারে।" শাস্তির খাড়া যে নেমে আসতে পারে কিউরেটর আশিস ভৌমিকের উপরে, তারও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
সিইও রাহুল জহুরিকে ভিলেন আখ্যা দিলেও, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বিসিসিআইয়ের দক্ষতার উপরে যে তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে, তা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ঘটনা হল, আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই সতর্কবার্তা ছিল বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পণ্ড হতে পারে। বলা হয়েছিল বিকেল ও সন্ধের সময়ে ঝিরিঝিরি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। পাশাপাশি হাওয়া বইবে, এমনটাও সতর্কবার্তা ছিল।
টস নির্ধারিত সময়ে হলেও ম্যাচ শুরুর ঠিক পনের মিনিট আগে বৃষ্টি শুরু হয়। তারপরেই গ্রাউন্ডম্যানসদের অনভিজ্ঞতা প্রকট হয়ে পড়ে। স্টিমরোলার, হেয়ার ড্রায়ার, কখনও আবার ইস্ত্রি দিয়ে পিচ শুকনো করার কাজ চলে। আউটফিল্ডের কভারেও ফুটো থাকায় জল রোখা যায়নি। তাতেই ভেস্তে যায় খেলা।