গত ফেব্রুয়ারিতে প্রাক্তন বিচারপতি ডিকে জৈনকে বিসিসিআই-এর অম্বুডসম্যান হিসেবে নিয়োগ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বোর্ডের নতুন প্রশাসনিক কমিটির প্রথম অম্বুডসম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন জৈন।
তাঁর প্রথম কাজ ছিল হার্দিক পাণ্ডিয়া ও লোকেশ রাহুলের বিতর্কের অবসান ঘটানো। টেলিভিশন শো ‘কফি উইথ করণ’-এ নারীবিদ্বেষী ও যৌন বিষয়ক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন পাণ্ডিয়া-রাহুল। শর্তসাপেক্ষে তাঁদের নির্বাসন উঠে গেলেও দেশের এই দুই ক্রিকেটার ভবিষ্য়ত নির্ণয় করতে চলেছেন জৈন। তিনি পাণ্ডিয়া-রাহুলকে ডেকে পাঠিয়েছেন। তাঁদের মুখ থেকে সবটা শুনেই সিদ্ধান্ত নেবেন জৈন।
আরও পড়ুন: ডিকে জৈনকে বিসিসিআইয়ের অম্বুডসম্যান নিয়োগ করল সুপ্রিম কোর্ট
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জৈন বলেন, "আমি গত সপ্তাহে হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং লোকেশ রাহুলকে নোটিস পাঠিয়েছি। ওঁদের বক্তব্য শোনার জন্য় ডেকে পাঠিয়েছি। আমি ওঁদের কথা শুনতে চাই। এবার ওঁদের ওপর নির্ভর করছে কবে আসবে।"
এর আগে বোর্ডের অম্বুডসম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন আরেক প্রাক্তন বিচারপতি এপি শাহ। ২০১৫-র ডিসেম্বরে দায়িত্ব নেন তিনি। এক মরসুম কাজ করেন শাহ। এরপর থেকেই অম্বুডসম্যানের পদটা ফাঁকাই ছিল। ফলে পরবর্তী অম্বুডসম্যানে নিয়োগ না-হওয়া পর্যন্ত বোর্ড পাণ্ডিয়া-রাহুলের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারছিল না। তাঁরা অম্বুডসম্যানের জন্যই অপেক্ষা করছিল। এবার পাণ্ডিয়াদের ভাগ্য নির্ধারিত হতে চলেছে অবশেষে।
এই মুহূর্তে পাণ্ডিয়া-রাহুল দু'জনেই আইপিএলে ব্যস্ত। বিশ্বকাপের আগে দু'জনেই টুর্নামেন্টে প্রমাণ করতে উদগ্রীব। দেখা যাক দুই তারকা ক্রিকেটার ভক্তদের কতটা আশ্বস্ত করতে পারেন!