বিশাল অর্থের বিড জমা দিয়ে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার আইপিএলে লখনৌ ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনার ৪৮ ঘন্টাও পেরোল না। এর মধ্যেই বড়সড় অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে পড়লেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সরাসরি স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগে বিদ্ধ তিনি। এটিকে মোহনবাগানের সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মালিকানাধীন এটিকে মোহনবাগান দলের অন্যতম বোর্ড ডিরেক্টর তিনি। আর চেয়ারম্যান স্বয়ং সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।
ওয়েবসাইটের তথ্যে আরও জানা যাচ্ছে, আইএসএলের অন্যতম হেভিওয়েট দল এটিকে মোহনবাগানের মালিক কলকাতা গেমস এন্ড স্পোর্টস নামের একটি সংস্থা। সেই সংস্থায় সৌরভ ছাড়াও রয়েছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষবর্ধন নেওটিয়া এবং উৎসব পারেখ।
আরও পড়ুন: ৭০০০ কোটিতে আইপিএলে দল গোয়েঙ্কার! দুই নয়া শহরের নাম-ও চূড়ান্ত
বোর্ডের এক অধিকারিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে জানিয়ে দিয়েছেন, "এটা সরাসরি স্বার্থ সংঘাতের বিষয়। সৌরভ বোর্ডের সভাপতি। ওঁর এই বিষয়টি অনুধাবন করা উচিত। এমন নয় যে এই প্ৰথমবার স্বার্থ সঙ্ঘাতে ও অভিযুক্ত হল।" সৌরভ এবং সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে যোগাযোগ করা হলেও ধরা যায়নি।
সিএনবিসি টিভি১৮-এ সঞ্জীব গোয়েঙ্কা সৌরভের সম্ভাব্য স্বার্থ-সংঘাতের ইস্যু নিয়ে প্রশ্নে জানিয়ে দিয়েছেন, "মোহনবাগানের পদ থেকে পুরোপুরি সরে যেতে পারেন সৌরভ। হয়ত আজ-ই ঘটতে পারে। সৌরভ নিজেই এই বিষয়ে ঘোষণা করবেন।" যদিও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সৌরভ এটিকে-মোহনবাগান থেকে সরে যাওয়ার কোনও ঘোষণা করেননি।
আরও পড়ুন: ৫১০০ কোটি হেঁকেও দল কিনতে ব্যর্থ আদানি! IPL-এ কে কত কোটির বিড দিল, দেখুন
ঘটনা হল, সরে দাঁড়ালেও, ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনার নিলাম পদ্ধতিতে সৌরভের ভূমিকা নিতে প্ৰশ্ন উঠতে বাধ্য। ২০১৯ থেকে বোর্ডের সভাপতির পদ সামলাচ্ছেন সৌরভ। বোর্ডের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সৌরভের প্রভাব রয়েছে। আর সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে লোধা কমিটির পেশ করা স্বার্থ সংঘাতের বিষয়ে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, বোর্ডের সঙ্গে বেসরকারি কোনও সংস্থার চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কোনও পদে বোর্ডের কোনও পদাধিকারী অথবা আত্মীয় স্বজনরা থাকতে পারবেন না।
গত বছর জেএসডব্লিউ সিমেন্টের ব্র্যান্ড এম্বাসাডর হিসাবে ইনস্টাগ্রামে বাণিজ্যিক পোস্ট করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন সৌরভ। বোর্ড সভাপতি থাকাকালীনই দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিক জেএসডব্লিউ-এর বিজ্ঞাপনী প্রচার কীভাবে করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তার আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর পদেও ছিলেন মহারাজ। যদিও সেই সময় তাঁর যুক্তি ছিল, বোর্ডের সভাপতি এবং জেএসডব্লিউ-য়ের ব্যান্ড এম্বাসাডর হিসেবে তাঁর দায়িত্ব সংঘাতপূর্ণ নয়।
পরবর্তীকালে এই ইস্যুতে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার লাইফ মেম্বার সঞ্জীব গুপ্তা স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ আনেন। যদিও সেই অভিযোগের শুনানি এখনও শুরু হয়নি। ঘটনাচক্রে, চলতি বছরের জুনে জাস্টিস ডিকে জৈন-এর মেয়াদ শেষের পরে বোর্ড এখনও পর্যন্ত অম্বুডসম্যান এবং এথিক্স অফিসার হিসেবে কাউকে নিয়োগ করেনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন