করোনা পরবর্তী পর্বে বিশ্ব ক্রিকেটকে নেতৃত্ব দিতে চায় বিসিসিআই। আইসিসির সঙ্গে সদস্য দেশগুলোর টেলিকনফারেন্স এ এই বিষয় প্রায় পাকা হয়ে গেল। সেই বৈঠকেই সদস্য দেশগুলোর মধ্যে লভ্যাংশ ভাগ করার নতুন রোডম্যাপ বাতলে দিলেন সচিব জয় শাহ। বৃহস্পতিবার ১২টি সদস্য দেশের কর্তার সঙ্গে আইসিসির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনটে সহযোগী দেশের কর্তারাও।
সেখানেই বিসিসিআই প্রস্তাব দেয় করোনায় যেভাবে ক্রিকেট অর্থনীতিতে আঘাত হেনেছে এতে আইসিসির লভ্যাংশ ভাগ করার প্রক্রিয়ায় বদল আনতে হবে। নতুন পদ্ধতি নিয়ে আসার বিষয়ে বিসিসিআইয়ের তরফে প্রস্তাব রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, বর্তমান লভ্যাংশ ভাগ করার পদ্ধতি ২০২৩ সাল অবধি চালু রয়েছে। সেই সময়সীমার আগেই এই পদ্ধতিতে বদল আনতে হলে আইসিসির কোনো কমিটি, বোর্ড অফ ডিরেক্টরস, সাব কমিটি এই সংশোধন আনতে সক্ষম আইনিভাবে। এর জন্য আইসিসির সদস্য দেশগুলির ৭৫ শতাংশ সংশোধণের পক্ষে মত দিতে হবে।
২০১৪ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আইসিসির লভ্যাংশ বিতরণের ক্ষেত্রে বিগ থ্রি নিয়ম চালু করেছিল। ভারত যেহেতু আইসিসির কোষাগারে ৭০ শতাংশ অর্থের যোগান দেয়, সেই হিসেবে মেনেই অতিরিক্ত অর্থের দাবি করছিল বিসিসিআই। সায় ছিল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ারও। সেই হিসাবেই ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসির তরফে ভারতের প্রাপ্য লভ্যাংশের পরিমাণ ৫৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১৭ সালে আইসিসিতে বিগ থ্রি মডেল সংশোধনের পর ভারতের এই লভ্যাংশের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৪০০মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটু বেশি। তবে করোনা সংক্রমণের পরবর্তী সময়ে ছোটখাটো ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলি বিসিসিআইয়ের মুখাপেক্ষী। আর্থিক ক্ষতি ঝেড়ে ফেলতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উপরেই ভরসা করছে তারা।