শ্রীলঙ্কার প্রস্তাব খারিজ করে দিলো বিসিসিআই। বোর্ড কর্তা সরাসরি পিটিআইকে জানিয়ে দিলেন, এই মুহূর্তে এরকম কোনো সম্ভাবনাই নেই।
সংবাদসংস্থাকে বোর্ডের শীর্ষ আধিকারিক জানান, "গোটা বিশ্ব স্তব্ধ। এমন সময়ে বিসিসিআই অন্য কোনো কিছু ভাবছে না।" শ্রীলঙ্কার বোর্ড আধিকারিক বিসিসিআইকে সরকারিভাবে প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানালেও সেই কর্তা অবশ্য সাফ জানিয়েছেন, "শ্রীলঙ্কা বোর্ডের তরফে কোনও প্রস্তাব আসেনি। আলোচনা তো দূরের কথা।"
এর আগে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট শাম্মি সিলভা সিংহল ডেইলি লংকাদীপা সংবাদপত্রে জানিয়েছিলেন, "আইপিএল বাতিল করলে বিসিসিআই ও সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হবে। যদি ওঁরা শ্রীলংকায় ম্যাচ আয়োজন করে তাহলে ভারতীয় দর্শকরা টিভিতে খেলা উপভোগ করতে পারবেন।"
অতীতের ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, "এর আগেও আইপিএলের বিদেশে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার দৃষ্টান্ত রয়েছে। এটা স্পষ্ট যে করোনা মোকাবিলায় ভারতের তুলনায় এখানের পরিস্থিতি আগে স্বাভাবিক হবে। আমাদের প্রস্তাবে বিসিসিআই কী সাড়া দেয়, তার প্রতীক্ষায় রয়েছি।"
জুলাই মাসেই ভারতের বিরুদ্ধে তিনটে করে টি২০ ও ওডিআই ম্যাচ খেলার কথা শ্রীলঙ্কার। সেই সিরিজের বদলেই আইপিএল আয়োজনে উদ্যোগী হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রের ক্রিকেট বোর্ড। এতে আর্থিকভাবেও তারা লাভবান হতে পারতো।
তবে বোর্ডের বর্ষীয়ান কর্তা বলেছেন, "আইসিসিতে শ্রীলঙ্কা ভারতের মিত্রপক্ষ। ওদের প্রস্তাব এই কারণেই সেটা বুঝতে পারছি। তবে পরের মাসে শশাঙ্ক মনোহর পদত্যাগ করলে কী হবে? অনেক নতুন সমীকরণ তৈরি হতে চলেছে। শুধু শ্রীলঙ্কা নয়, একাধিক অপশন খোলা থাকবে।"
কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা করতেই বিসিসিআইয়ের তরফে আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিল। তারপরেই আইপিএল করার বার্তা দিয়েছিল শ্রীলংকার ক্রিকেট বোর্ড। বিপুল আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা সামাল দিতে আইপিএল আয়োজনে বদ্ধপরিকর বোর্ডও। এরপরেই শ্রীলঙ্কার প্রস্তাব খারিজ করার অর্থ আরো অপশনের কথা ভাবছে বিসিসিআই।