বোর্ডের সঙ্গে বেশ কয়েক বছরের সম্পর্ক অনলাইন শিক্ষামূলক সংস্থা বাইজু-র। সেই বাইজুই বোর্ডের সহযোগী স্পনসর তো বটেই, এমনকি টাইটেল স্পনসরও হয়েছে। ২০১৯-এ ওপোর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাইজু-র সঙ্গে টাইটেল স্পনসরশিপের চুক্তি করা হয়। ওপোর সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করে। সেই বাইজু-র কাছেই নাকি বোর্ডের আপাতত ১৫৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়ে গিয়েছে।
সেই বকেয়া আদায়ের জন্যই বিসিসিআই দ্বারস্থ হল এনসিএলটি-র। জাতীয় স্তরের কোনও আর্থিক অস্বচ্ছতা সংক্রান্ত বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে থাকে এই ট্রাইব্যুনাল। সেই এনসিএলটি-র তরফেই বাইজুকে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা থিঙ্ক এন্ড লেরণ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বোর্ডের তরফে বাইজু-র বিরুদ্ধে এনসিএলটি-তে পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। যেখানে ২০১৬-য় আর্থিক অস্বচ্ছতা এবং দেউলিয়া সংক্রান্ত কোডের নিয়ম মেনে বোর্ডের অপারেশনাল ক্রেডিটর হিসাবে বাইজু-র নামে ১৫৮ কোটি টাকা বকেয়ার কথা বলা রয়েছে। সেই নোটিশে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাইজুকে বোর্ডের তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল ১৫৮ কোটি টাকা আদায়ের জন্য। তবে কোনও জবাব তাঁরা পাননি।
তারপরেই বেঙ্গালুরুর এই আর্থিক আইনি সহায়তা প্রদান কারী সংস্থার তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছে থিঙ্ক এন্ড লার্ন-এর কাছে। দুই সদস্যের বেঞ্চের এনসিএলটি-র তরফে জানানো হয়েছে, বাইজু-কে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য একসপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। বোর্ডকে এরপরে পাল্টা জবাবের জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের তরফে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২২ ডিসেম্বর।