BCCI Secretary Jay Shah: বিসিসিআইয়ের বোর্ড সভাপতিও নন, সচিব পদে বসেই বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বের সবথেকে প্রভাবশালী কর্তা জয় শাহ। এবার তাঁর সেই ক্রিকেট জগতে তাঁর এই ক্ষমতাতেই এবার শিলমোহর পড়তে চলেছে। আইসিসি চেয়ারম্যান পদে নিউজিল্যান্ডের গ্রেগ বার্কলের পদত্যাগের পর জয় শাহ-ই আপাতত সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার শীর্ষস্থানে বসার দাবিদার।
জয় শাহের আমলে বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট দুনিয়ায় আধিপত্য শিখর ছুঁয়েছে। গত আইপিএল আয়োজন করেই বোর্ড ৫ হাজারেরও বেশি কোটি টাকা উপার্জন করেছে। দ্য এজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আইসিসির সঙ্গে সম্প্রচারকারী স্টার নেটওয়ার্কের ৪.৪৬ বিলিয়ন ডলারের বিবাদের পর চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলের ভিডিও বার্তায় সরাসরি পদত্যাগ করেছেন। সেই প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, জয় শাহ আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ক্রিকেট দুনিয়ায় দুই প্রভাবশালী বোর্ড অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করে নিয়েছেন।
আইসিসির মুখপাত্র দ্য এজ-কে জানিয়েছেন, "গ্রেগ বার্কলে তৃতীয় বারের মত চেয়ারম্যান হওয়া থেকে বিরত থাকার বার্তা দিয়েছেন। নভেম্বরেই ওঁর বর্তমান মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ২০২০-এর নভেম্বরে বার্কলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্যান্ডিডেট হিসাবে মনোনীত হয়েছিলেন আইসিসির শীর্ষ পদের জন্য। ২০২২-এ পুনরায় মনোনীত হন তিনি।"
"আগামী ২৭ অগাস্টের মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে হবে আইসিসির ডিরেক্টরদের কাছে। একাধিক প্রার্থী থাকলে নির্বাচন হবে। নতুন চেয়ারম্যানের মেয়াদ শুরু হচ্ছে ১ ডিসেম্বর ২০২৪-এ।"
এর আগে জগমোহন ডালমিয়া, শরদ পাওয়ার এবং শশাঙ্ক মনোহর ভারতীয়দের মধ্যে আইসিসি প্রধান হয়েছিলেন। আইসিসির পূর্ণ সদস্যের ১৬ দেশের মধ্যে ৯ দেশের সমর্থন পেলেই জয়ী ঘোষণা করা হবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের। অতীতে নিয়ম ছিল, বিজয়ী প্রার্থীকে দুই তৃতীয়াংশ ভোট পেতে হবে পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে।
আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার মেয়াদ কিছুদিন আগেই পরিমার্জন ঘটানো হয়েছে। এবার থেকে আইসিসি চেয়ারম্যান নূন্যতম তিন বছর পদে থাকতে পারবেন। অতীতে এই মেয়াদ ছিল দু বছরের জন্য। বার্কলে সবমিলিয়ে এই পদে থাকলেন দুই টার্ম- অর্থাৎ চার বছর। জয় শাহ আইসিসি চেয়ারম্যান হলে ২০২৭-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবেন এই পদে।