ঘরোয়া ক্রিকেটারদের টাকা মিটিয়ে দিল বিসিসিআই

এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে জানানো হয়েছিল করোনা সংক্রমণের সময় যুব ক্রিকেটাররা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে।

এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে জানানো হয়েছিল করোনা সংক্রমণের সময় যুব ক্রিকেটাররা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কিছুদিন আগেই বেশ কিছু প্রচারমাধ্যমে লেখালেখি হয়েছিল ঘোষণা করে দেওয়া হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটাররা এখনও পুরস্কারের অর্থ পাননি। তারপরেই তড়িঘড়ি ১০ জন সেরা পারফর্মারদের কাছে টাকা পাঠিয়ে দিল বিসিসিআই।

Advertisment

যে আটজন পুরুষ ক্রিকেটার বোর্ডের কাছ থেকে পুরস্কারের অর্থ পেলেন, তাঁরা হলেন- অনুর্দ্ধ-২৩ সিকে নাইডু ট্রফির সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক সিদক সিং (পন্ডিচেরি), অনুর্দ্ধ-১৬ বিজয় মার্চেন্ট ট্রফির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আরিয়ান হুদা (ঝাড়খণ্ড), বিজয় মার্চেন্ট ট্রফির সবথেকে বেশি উইকেট শিকারি অভিষেক যাদব, অনুর্দ্ধ-২৩ সিকে নাইডু ট্রফির সবথেকে বেশি রান সংগ্রাহক মনন হিংরাজিয়া (গুজরাট), অনুর্দ্ধ-১৯ কুচবিহার ট্রফিতে সবথেকে বেশি উইকেট নেওয়া অপূর্ব আনন্দ (গুজরাট), অনুর্দ্ধ-১৯ কুচবিহার ট্রফিতে সবথেকে বেশি রান করা ভটসাল গোবিন্দ (কেরালা), রঞ্জি ট্রফির হায়েস্ট রান গেটার সিকিমের মিলিন্দ কুমার এবং সবথেকে বেশি উইকেট নেওয়া বিহারের আশুতোষ আমন। রঞ্জি ট্রফির পারফর্মাররা ২.৫ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। বাকিরা ১.৫ লক্ষ করে পেয়েছেন।

মহিলাদের যুব দলের সেরা ক্রিকেটার শেফালী ভার্মা এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা মহিলা ক্রিকেটার হয়েছেন দীপ্তি শর্মা। দুজনেই পুরস্কারের অর্থ বাবদ পেয়েছেন ২.৫ লক্ষ টাকা। জানুয়ারি মাসে পুরস্কার প্রাপকদের নাম আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

Advertisment

এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে জানানো হয়েছিল করোনা সংক্রমণের সময় যুব ক্রিকেটাররা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে। সিদক সিংয়ের বাবারই যেমন পোশাকের ব্যবসা রয়েছে। তা ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। বোকারোতে অভিষেক যাদবের ঠাকুমার চিকিৎসা করতে তাঁর পিতা বিপুল অঙ্কের অর্থ লোন হিসাবে নিয়েছিলেন। সেই অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে রেলওয়েতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পিতার।

এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরই বকেয়া পুরস্কারের অর্থ মিটিয়ে দেয় বিসিসিআই। ছয়জন ক্রিকেটারই শিকার করে নিয়েছেন তাঁদের অর্থ ব্যাঙ্ক একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, প্রাক্তন অলরাউন্ডার মনোজ প্রভাকরের বিরুদ্ধে গড়াপেটার নির্বাসন খতম হয়ে গিয়েছে ২০০৫ সালেই। তিনিও এবার বোর্ডের তরফে পেনশন সহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পাবেন। ডিসেম্বরে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ১.৫ কোটির বকেয়া মিটিয়েছিল বোর্ড। তারপরেই বোর্ডের কাছে নিজের বিষয়ে আবেদন করেন প্রভাকর। তার অনুরোধে সাড়া দিয়ে ১কোটি টাকা দেওয়া হবে তাঁকে।

BCCI