Ravichandran Ashwin, IPL auction: আইপিএলে নিলামের এক নিয়ম ফিরে আসায় রীতিমতো চটে গেলেন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আইপিএলের তীব্র সমালোচনা করে অশ্বিন কটাক্ষের সুরে বলেছেন, এরপর তো 'অন্যায় বল আর কিছু থাকলই না।' নিলামে যে নিয়ম ফিরে আসায় অশ্বিন চটেছেন, তা হল আরটিএম। এই আরটিএম হল এমন একটি নিয়ম, যার সাহায্যে দলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়কে পেতে পারে। সেই সব খেলোয়াড়কে পেতে পারবে, যাঁরা আগের মরশুমে সেই দলের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। হ্যাঁ, তবে তখনই পেতে পারবেন সেই খেলোয়াড়কে, যখন নিলামে ওঠা সেই খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ দর সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি দিতে পারবেন।
ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন, এই রাইট টু ম্যাচ (RTM) নিয়মের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এই নিয়ম আগামী বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নিলামের সময় ফিরে আসতে পারে। আইপিএল (IPL) ২০২৫-এর নিলাম চলতি বছরের শেষেই অনুষ্ঠিত হবে। আগস্টের শুরুতে, বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) আইপিএল প্লেয়ার বিধিমালা প্রণয়নের আগে বিভিন্ন বিষয়ে ১০টি লিগ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকদের সঙ্গে একটি 'গঠনমূলক বৈঠকের' আয়োজন করেছিল।
বৈঠকের আগে, ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছিল যে আলোচনার উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হল: তিনের পরিবর্তে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর মেগা নিলামের আয়োজন। এখন যেভাবে আছে, সেভাবেই নিলামে রাইট-টু-ম্যাচ (RTM) কার্ড বিকল্প পুনরায় লাগু করা। বিদেশে খেলোয়াড়দের প্রাপ্যতা বা তাদের ধরে রাখার মোট সংখ্যার সীমা নির্ধারণ। আইপিএল দলগুলো অতীতে কিছু মূল্যবান খেলোয়াড়কে পেতে আরটিএম নিয়মের ব্যবহার করেছিল। কিন্তু, ২০২১ সালের মেগা নিলামে, তৎকালীন নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটানস (জিটি/GT) এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস (এলএসজি)-কে খেলোয়াড়দের বেছে নেওয়ার সুযোগ দিতে এই নিয়ম প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে এই নিয়ম সম্পর্কে বলতে গিয়ে অশ্বিন বলেছিলেন যে এই নিয়ম একজন খেলোয়াড়ের প্রতি অন্যায় ছাড়া কিছুই নয়। কারণ, এই নিয়ম একজন খেলোয়াড়কে ন্যায্য মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে। অশ্বিনের কথায়, 'একজন খেলোয়াড়ের কাছে আরটিএমের চেয়ে অন্যায্য কোন নিয়ম নেই। উদাহরণস্বরূপ, এক্স নামে একজন খেলোয়াড় আছে। ধরা যাক, সে সানরাইজার্সে আছে। তার বর্তমান মূল্য হল প্রায় পাঁচ-ছয় কোটি টাকা। এখন কেকেআর এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স যদি ৬ কোটি টাকা পর্যন্ত যায় তখন সানরাইজার্স আরটিএমের দৌলতে ওই খেলোয়াড়কে ৬ কোটি টাকায় নিয়ে নেবে।'
আরও পড়ুন- আত্মহত্যা করেছেন বিশ্বক্রিকেট মাতিয়ে দেওয়া এই সুপারস্টার, ভয়ঙ্কর পারিবারিক খোলসা স্ত্রীর
অশ্বিন বলেন, 'ওই খেলোয়াড়ের দর আরও বাড়তে পারত। অন্য দল ৬ কোটি ২০ লক্ষ হাঁকত। আবার অন্য কোনও দল হয়তো ৬ কোটি ৪০ লক্ষও হাঁকতে পারত। কিন্তু, আরটিএম থাকায়, সেই সুযোগ আর ওই খেলোয়াড় পাবেন না। তিনি সেভাবে মূল্যই পাবেন না। লাভবান হবে শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজি।'