ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটারদের উন্নতির কাজ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বিসিসিআই। পুরুষ দলের সঙ্গে মহিলা ক্রিকেটারদের বেতনের ব্যবধান যেমন কমিয়ে আনা হয়েছে, তেমন মহিলা দলের হেড কোচের জন্যও পুরুষদের কোচের প্রায় সমান বেতন দেওয়া হচ্ছে। ইএসপিএন ক্রিক ইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোর্ডের তরফে মহিলা ক্রিকেট দলের হেড কোচ হওয়ার জন্য ভাবা হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে ২০১১-য় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করা গ্যারি কার্স্টেন। তবে সেই ঘটনা বাস্তবায়িত হয়নি।
২০১১-এ ধোনির টিম ইন্ডিয়াকে বিজয়মঞ্চে পৌঁছে দেওয়া কার্স্টেনকে কেন মহিলা দলের কোচ করা যায়নি? সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইপিএল সহ অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সঙ্গে চুক্তি থাকায় প্রোটিয়াজ গুরুকে হরমনপ্রীত কউর, জেমিমা রদ্রিগেজদের জন্য কোচ করে আনা হয়নি। চুক্তির কারণেই তিনি ভারতের মহিলা দলের কোচ হতে পারেননি। সেই ঘটনার পর বোর্ডের তরফ থেকে আপাতত সুযোগ্য কোচের সন্ধান জারি রয়েছে।
মহিলা দলের হেড কোচ হওয়ার দৌড়ে আপাতত এগিয়ে মুম্বইয়ের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন অমল মুজুমদার, এবং জাতীয় দলের হয়ে খেলা প্রাক্তন অলরাউন্ডার ঋষিকেশ কানিতকর। ক্রিকেট মহলে অমল মুজুমদারের ক্রিকেটীয় প্রজ্ঞা নিয়ে কার্যত কোনও সংশয়ই নেই। ঋষিকেশ কানিতকর আবার বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন হেড কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে বোর্ড আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কাউকে চাইছেন মহিলা দলের কোচ হিসেবে। সেই কারণেই মহিলা দলের কোচ নিয়োগে বিলম্ব ঘটছে।
মহিলাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচি অনুযায়ী দুটো বড় ইভেন্ট রয়েছে সামনে। পরের বছর বাংলাদেশে বসছে মহিলা টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের আসর। ভারতে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৫-এ। আর জোড়া ইভেন্টকে পাখির চোখ করা বোর্ড এখন থেকেই কোমর বেঁধে নামছে। এখন থেকেই আন্তর্জাতিক কোনও ক্রিকেটারকে দায়িত্বে এনে জোড়া ইভেন্টের লক্ষ্যে ঝাঁপাতে চাইছে বিসিসিআই। এমনও খবর রটে গিয়েছিল, ইংল্যান্ডের মহিলা দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন শার্লট এডওয়ার্ডস নাকি টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ হতে পারেন। শার্লট ওমেন্স প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের হেড কোচের ভূমিকা পালন করেছেন। তবে তাঁর তরফে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Read the full article in HINDI