এবার থেকে দেশের মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য থাকবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তথ্যের অধিকার আইন অর্থাত্ রাইট টু ইনফরমেশন (আরটিআই) এর অধীনে চলে এসেছে বিসিসিআই। সোমবারই কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন এই বার্তা দিয়েছে। ফলে ক্রিকেট ফ্যানেদের কাছে দায়বদ্ধ বিরাট কোহলিদের সংস্থা। লোধা কমিটির সুপারিশে অনেক দিন আগেই বিসিসিআই-কে আরটিআই-এর আওতাভুক্ত করার কথা বলা হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন এই নির্দেশ দেওয়ার আগে আইন কমিশনের রিপোর্ট ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রকের জনতথ্য আধিকারিকের পাঠানো সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছে। ভবিষ্য়তে বোর্ডকে তথ্যের অধিকার আইনের ধারা দুই (এইচ) উপধারা মেনেই গঠনতন্ত্র ঠিক করে কার্যপ্রণালী চালাতে হবে। এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটবে না বোর্ডের অধীনে থাকা সমস্ত রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলিরও। কমিশনের নির্দেশ মেনে বোর্ডকে অনলাইন ও অফলাইন ব্যবস্থাও চালু করতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষ বোর্ডের যে কোনও বিষয় প্রশ্ন রাখলেই উত্তর পাবে। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে তা লাগু করতে হবে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনকে জানিয়েছে যে, বিসিসিআই একমাত্র জাতীয় পর্যায়ের সংগঠন যারা সারা দেশে ক্রিকেট সংক্রান্ত যাবতীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ফলে তাদেরকে আরটিআই-এর আওতাভুক্ত হতে হবে।
আরও পড়ুন: সংঘাতে বিসিসিআই-এমপিসিএ, ইন্দোর থেকে সরতে পারে ম্যাচ
বিসিসিআই এখন কার্যত ব্যাকফুটে। পুরো ঘটনায় দায় তারা চাপাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ) এর ওপর। মঙ্গলবার বোর্ডের এক সিনিয়র আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, “আমার মনে হয় সিওএ ইচ্ছাকৃত এই অবহেলা করেছে। আরটিআই ইস্যুতে অসতর্কতা অবলম্বন করেছে। গত ১০ জুলাই সিআইসি-র শুনান ছিল। সেখানে বিসিসিআই-এর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, কেন তারা তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় আসবে না। কিন্তু বিসিসিআই উত্তর দিয়ে একটা ফাইলও জমা করতে পারেনি। উল্টে শো-কজ নোটিস হাতে চলে এসেছে। এখন একটাই রাস্তা খোলা। হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে।” সিওএ প্রধান বিনোদ রাই এই বিষয়ে একটি বাক্যও ব্যয় করেননি। আইনের পথেই হাঁটতে চলেছেন তিনি।