জোফ্রা আর্চারের বদলা এবার জোস হ্যাজেলউড। বাউন্সারের পালটা এবার বাউন্সার। স্টিভ স্মিথ আর্চারের বাউন্সারে কনকাশনের পাল্লায় পড়ে তৃতীয় টেস্ট থেকে ছিটকেই গিয়েছেন। আর্চারের বাউন্সার থেকে রেহাই পাননি তাঁর পরিবর্ত হিসেবে খেলতে নামা লাবুশানেও। তবে আর্চারের পালটা আগুন ভেসে এল হ্যাজেলউডের হাত থেকে। অজি স্পিডস্টারের বাউন্সারে এবার ভেঙে চূর্ণ বিচূর্ণ বেন স্টোকসের হেলমেট।
তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামার আগেই অজি কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার নিজের দলকে সতর্ক করে বলে দিয়েছিলেন, বাউন্সার দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামলে চলবে না। আবেগ সরিয়ে খেলতে নামতে হবে। তবে তা কানে শুনলে তো! তাই এবার হ্যাজেলউডের বাউন্সার সরাসরি আঘাত হানল স্টোকসের হেলমেটে। যা মুহূর্তেই খণ্ড বিখণ্ড।
অস্ট্রেলিয়ার ৩৫৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ক্য়াপ্টেন জো রুটের সঙ্গে ক্রিজে হার বাঁচাতে লড়ছিলেন স্বয়ং বেন স্টোকস। সেই সময় স্কোর ছিল ১৫৬/৩। একসময় পরপর তিন ওভার মেডেন ওভার হয়েছিল। তারপরেই ৭৫তম ওভারের পঞ্চম বলে বিপত্তি। তারপরেই হ্যাজেলউডের শর্ট বল। যদিও বলের স্পিড বেশি ছিল না। মাত্র ১৩৫ কিমি। তবে হেলমেটের জালে আঘাত হানতেই ইয়ারগার্ড ভেঙে যায়। স্মিথ কাণ্ডের পরে এমনিতেই অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাট করতে নামছেন স্টোকস। হেলমেটের সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে স্টেম গার্ড লাগিয়েছিলেন তিনি। সেটাই এবার চূর্ণ হয়ে গেল হ্যাজেলউডের শর্ট বলে।
তৃতীয় দিনের থার্ড সেশনে অস্ট্রেলিয়ার সামনে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন জো রুট। তিনি অর্ধশতরান করে ব্যাট করছিলেন। এদিন রুটকে ফেরায় ওয়ার্নারের অসাধারণ একটি স্লিপ ক্যাচ। লিওনের বল ব্যাটের কানায় লেগে প্রায় উইকেটকিপার পিছনে চলে গিয়েছিল। অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই ক্যাচ তালুবন্দি করেন ওয়ার্নার।
রুট আউট হয়ে যাওয়ার পরে বেন স্টোকস জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে জুটি বেঁধে ৫৮ বলে দ্রুত ৫০ রানের একটি ইনিংস খেলেন। বেয়ারস্টো (৩৬) আউট হয়ে যাওয়ার পরে বাটলার ও ক্রিস ওকস ৮ রানের ব্যবধানে আউট হয়ে যান। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রডের সঙ্গে জুটি বেঁধে ম্যাচ টিকিয়ে রেখেছেন স্টোকস (৬১)। ইংল্যান্ডকে জয়ের জন্য এখনও স্কোরবোর্ডে তুলতে হবে ৭৩ রান। তবে হাতে রয়েছে মাত্র ২ উইকেট। আপাতত ইংল্যান্ড ২৮৬/৮। অস্ট্রেলীয় বোলারদের মধ্যে ফের একবার সফল জোস হ্যাজেলউড। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি ৪ উইকেট দখল করেছেন।
Read the full article in ENGLISH