/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/Bengal-vs-Delhi.png)
অভিমন্যু-অনুষ্টুপের ব্যাটে দিল্লি বধ বাংলার (ছবি-টুইটার/সিএবিক্রিকেট)
শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলার প্রয়োজন ছিল ৩০৪ রান। অনেকেই বলেছিলেন যে, কাজটা রীতিমতো কঠিন। কিন্তু মনোজ তিওয়ারির বঙ্গ ব্রিগেড বুঝিয়ে দিল, চেষ্টা থাকলে অসাধ্য সাধন বলে কিছুই নেই। বুধবার দিল্লিকে সাত উইকেটে হারিয়ে ছ’পয়েন্ট তুলে রঞ্জির নক আউটে খেলার স্বপ্ন জিইয়ে রাখল বাংলা। এই মুহূর্তে সাত ম্যাচ খেলে বাংলার পকেটে ২২ পয়েন্ট৷ শেষ ম্যাচে ইডেনে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ছ’ পয়েন্ট তুলতে পারলেই কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হবে মনোজদের৷
Match UPDATE: Bengal v Delhi - #RanjiTrophy, Elite Group B- DAY 4#Delhi 2nd innings - 301#AshokeDinda 5/88#Bengal 2nd innings - 323/3#AREaswaran - 183*(211), #AnustupMajumdar 69*(122)
Bengal won by 7 wickets.#CAB#BENvDELpic.twitter.com/rewGr5jK7x
— CABCricket (@CabCricket) January 2, 2019
দিল্লির প্রথম ইনিংসে ২৪০ রানের (জন্টি সিধু, ৮৫) জবাবে বাংলা ২২০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। ব্যাটসম্য়ানদের ব্যর্থতাই তাড়া করেছিল মনোজদের। সফল বলতে সেই একজনই বাংলার একমাত্র আশা ও ভরসা অশোক দিন্দা। চার উইকেট পান তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে নীতিশ রানার দল তোলে ৩০১ (সুবোধ ভাটি, ৬২)। দ্বিতীয় ইনিংসেও ঘরের মাঠে ঝলসান দিন্দা। ৩০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৮৮ রান দিয়ে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের শেষে দিল্লির রান তাড়া করতে নেমে অপরাজিত থাকেন বাংলার দুই ওপেনার অভিষেক রমন (৮) ও অভিমন্যু ঈশ্বরন (৬)।
আরও পড়ুন: বিরাট কোহলির থেকে শুধুই শিখতে চান বাংলার প্রয়াস
বুধবার এই অভিমন্যুর ব্যাটই বাংলাকে জয় এনে দেয়। ১৮৩ রানের অনবদ্য অপরাজিত ইনিংস আসে তাঁর হাত থেকে। ২১১ বল খেলে ২৩টি চার ও দু’টি ছয় মারেন বাংলার সিনিয়র ওপেনার। রমন ফিরে যান ৫২ রানে। তখন বাংলার স্কোর ১২১। এরপর তিন ও চারে ব্যাট করতে নামা সুদীপ চট্টোপাধ্য়ায় ও মনোজ তিওয়ারি চূড়ান্ত ব্যর্থ হন। সুদীপ ফেরেন ২ রানে। মনোজ উইকেট দিয়ে আসেন ৫ রানে। ১৩৭ রানে তিন উইকেট চলে যায় বাংলার। এরপর অনুষ্টুপ মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাকে জয়ের রাস্তা দেখান অভিমন্যু। অনুষ্টুপ ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এদিন। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে বাংলা সর্বাধিক ৩০৭ রান তাড়া করে জিতেছিল ২০০৬-০৭ মরসুমে। কর্নাটকের বিরুদ্ধে দীপ দাশগুপ্তের বাংলা সেবার নজির গড়েছিল৷ কিন্তু এবার মনোজের বাংলা সেই রেকর্ড ভেঙে লিখল নয়া ইতিহাস।