একদিন আগেই দেশকে গর্বিত করেছেন মেহুলি ঘোষ।এবং শানু তুষার মানে। কোরিয়ার চাঙওয়ানে আয়োজিত শুটিং ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে দেশকে সোনা এনে দিয়েছেন রাইফেল/পিস্তল/শটগান রাউন্ডে। এয়ার রাইফেল মিক্সড টিম রাইফেল ইভেন্টে হাঙ্গেরির এস্টার মেসজারোস এবং ইস্টবান পেনিকে কড়া লড়াইয়ে ১৭-১৩ ব্যবধানে হারিয়ে। বাংলা থেকেই উত্থান। তবে বর্তমানে ঘাঁটি গেড়েছেন হায়দরাবাদে।
বাংলা তো বটেই দেশকে গর্বিত করার পরে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে একান্ত সাক্ষাৎকারে দিয়েছেন মেহুলি। সেই সাক্ষাৎকারের সারাংশ-
বিশ্বকাপে সোনা জেতার অভিজ্ঞতা: মুখে নিজের অভিজ্ঞতা বোঝাতে পারছি না। অসাধারণ একটা মুহূর্তের সাক্ষী থাকলাম আমি। নিজের জন্য ভীষণ ভালো লাগছে। কারণ যেভাবে খেলতে চেয়েছিলাম, সেভাবেই খেলেছি।
কলকাতায় জয়দীপ কর্মকারের কাছে ট্রেনিং মিস করেন কিনা: শেষবার কলকাতায় গিয়েছিলাম জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে। তারপর নিজের ট্রেনিংয়ের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। বাবা-মাকে ভীষণ মিস করি। বিশেষ করে মায়ের হাতের রান্না। ভাত, ডাল, আলু পোস্ত, মাছ আমার ফেভারিট। জুলাইয়ের ১৭ তারিখে হায়দরাবাদ পৌঁছচ্ছি। ওখানেই বাবা-মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। দুজনেই দারুণ খুশি। কলকাতা থেকে শুভেচ্ছা বার্তায় ইনবক্স ভরে উঠছে। এবার আবার দুর্গাপুজোতেও একটা প্রতিযোগিতা রয়েছে। সেই সময় কলকাতায় থাকা মিস করব।
শুটিংয়ে কীভাবে আসা: আগে সেইসব সিনেমা পছন্দ করতাম যেখানে বন্দুক, পিস্তল দেখানো হত। সিআইডি-ও ভীষণ ভালোবাসি। তখন ভাবতাম, যদি আমার হাতেও একটা বন্দুক থাকত। তারপর একদিন অভিনব বিন্দ্রাকে অলিম্পিকে সোনা জিততে দেখলাম। তখনই উপলব্ধি করি, খেলা হিসাবে শুটিং বেছে নিতেই পারি। তারপরে জয়দীপ কর্মকারের শুটিং একাডেমিতে ভর্তি হই। এভাবেই আমার শুটিং যাত্রা শুরু হল। বর্তমানে বিবশ্বন গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ট্রেনিং করছি।
শুটিং সাধারণত পুরুষ কেন্দ্রিক স্পোর্টস। এমন ভাবনার যৌক্তিকতা: যদি রেকর্ডের দিকে তাকানো যায়, পুরুষদের থেকে মহিলাদের রেকর্ডের সংখ্যা অনেক বেশি। ছেলে হোক বা মেয়ে সকলকেই শুটিংকে বেছে নেওয়ার জন্য উৎসাহ জোগাতে চাই। যদি কেউ খেলাটাকে ভালোবাসে। তাহলে তাঁর শুটিংয়ে যাওয়া উচিত। প্ৰথমে স্থানীয় ক্লাবে ভর্তি হওয়া, তারপরে পেশাদারি কোচের তত্ত্বাবধানে ট্রেনিং চালু করা উচিত। সাফল্যের মন্ত্র আত্মত্যাগ এবং অনুশীলনে।