বুধবার সকালে পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গে পা রাখলেন বাংলার চার পর্বতারোহী। ৮৫৮৬ মিটার উচ্চতায় উড়ল তেরঙ্গা। এই মুহূর্তে কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গ থেকে অবতরণ করছেন পর্বতারোহীরা। সবাই সুস্থ শরীরে রয়েছেন বলেই খবর।
দেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পা রাখা সফল পর্বতারোহীরা হলেন সোনারপুর আরোহী ক্লাবের বিপ্লব বৈদ্য, কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে রুদ্রপ্রসাদ হালদার, , হৃদয়পুরের রমেশ রায় (মাউন্টেন কোয়েস্ট ক্লাব) এবং ইছাপুরের শেখ সাহাবুদ্দিন। পর্বতারোহণ সংস্থা পিক প্রোমোশন এই খবর সুনিশ্চিত করেছে। দলের আরেক সদস্য হাওড়া ডিসট্রিক্ট মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশানের কুন্তল কাঁড়ার-এর সামিটের খবর এখনও এসে পৌঁছয়নি বাংলার পরববতারোহী দলের সঙ্গে ছিলেন ফুর্বা, মিংমা, দাওয়া তেম্বা, দাওয়া সিরিং এবং দাওয়া এই পাঁচজন দক্ষ শেরপা। মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছিল সামিট মার্চ।
আরও পড়ুন, “পর্যাপ্ত অক্সিজেন আর সাহায্য পেলে বাঁচানো যেত বাংলার দুই পর্বতারোহীকে”
গত ৪ এপ্রিল কলকাতা বিমানবন্দরে দলের সদস্যরা
বিগত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার ঘনঘন পরিবর্তন হওয়ায় চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে কেটেছে প্রত্যেকের। যথেষ্ট উদ্বেগের সঙ্গেই অপেক্ষা করছিল বাংলার পর্বতারোহী মহল। অবশেষে এল সাফল্যের খবর। শেখ সাহাবুদ্দিন ছাড়া প্রত্যেকেই গত ৪ এপ্রিল কলকাতা ছেড়েছিলেন অভিযানের উদ্দেশে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অভিযানের বিপুল খরচ জোগাড় না হওয়ায় সাহাবুদ্দিনের অভিযান বেশ খানিকটা অনিশ্চিত থাকলেও পরে তিনি বাকিদের সঙ্গে যোগ দেন। পাঁচ পর্বতারোহীর ঝোলাতেই রয়েছে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট সহ একাধিক ৮০০০ মিটারের বেশি উচ্চতার অভিজ্ঞতা।
এক মাসের বেশি সময় ধরে চলেছে অ্যাক্লেমাটাইজেশন পদ্ধতি (ওই উচ্চতার আবহাওয়ার সঙ্গে শরীরের খাপ খাইয়ে নেওয়ার পদ্ধতি)। বিশেষজ্ঞদের মত, কাঞ্চনজঙ্ঘায় আরোহণ অধিকাংশ ৮০০০ মিটারের শৃঙ্গের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশ কঠিন। স্বভাবতই সফল অভিযানের সংখ্যাও বেশ কম। ২০১৪ সালের ২০ মে কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে থেকে ফেরার পথেই নিখোঁজ হয়ে যান ছন্দা গায়েন। তারপর বাংলা থেকে এই প্রথম সফল অভিযান হল।