Indian climber dies in Mount Everest: মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেও ঘরে ফেরা হল না বাঙালি পর্বতারোহীর। নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা সুব্রত ঘোষের মৃত্যু হল শৃঙ্গজয়ের পর নেমে আসার সময়। পেশায় শিক্ষক সুব্রতর দেহ উদ্ধার হয়েছে এভারেস্টের হিলারি স্টেপের কাছে। নেপালের পর্বতারোহী ‘স্নোয়ি হরাইজ়ন ট্রেকস অ্যান্ড এক্সপিডিশন’-এর সদস্য বোধরাজ ভাণ্ডারি সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সুব্রত ঘোষ হিলারে স্টেপ থেকে নামতে চাননি।
গত ৩১ মার্চ বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে রানাঘাট থেকে নেপালে যান সুব্রত ঘোষ এবং রুম্পা দাস। তিনিও শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁরা এভারেস্ট শৃঙ্গজয় করেন। পাহাড়চূড়ায় তেরঙ্গা তোলার পর ক্যাম্প ফোরে নেমে আসেন রুম্পা। কিন্তু নামতে পারেননি সুব্রত। সাউথ সামিট এবং হিলারে স্টেপের মাঝে আটকে পড়েন তিনি। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবর চাউর হয়ে যায়। আজ শুক্রবার সুব্রতর দেহ উদ্ধার হয়।
সুব্রত ঘোষ রানাঘাটের বাসিন্দা হলেও তিনি শিক্ষকতা করতেন বাগদা ব্লকের কাপাসিটি মিলনবিথী হাইস্কুলের ইংরাজির শিক্ষক। সম্প্রতি তিনি অরুণাচল প্রদেশের গোরিচন শৃঙ্গ জয় করেন।
আরও পড়ুন সার্বিয়ার তারকা ডিফেন্ডার এবার ইস্টবেঙ্গলে? আনন্দে নাচছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা
সুব্রত একা নন, এই অভিযানে প্রাণ গিয়েছে ফিলিপিন্সের এক পর্বতারোহীরও। ফিলিপি সান্তিয়াগোর মৃত্যু হয় এভারেস্টে ওঠার সময়। নেপালের পর্বতারোহণ সংস্থা জানিয়েছে, ক্যাম্প ফোরে ওঠার পর ক্লান্ত হয়ে পড়েন সান্তিয়াগো। তাঁবুতে বিশ্রাম নেওয়ার সময়ই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন গবেষণায় সামনে এল অজানা তথ্য, জানেন কেন বাড়ছে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা?
কী এই হিলারে স্টেপ?
মাউন্ট এভারেস্টের শৃঙ্গের একটু নিচে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অংশটিই হল হিলারি স্টেপ। ১২ মিটার দৈর্ঘের এই পাথুর পথ। এতটাই দুর্গম যে পর্বতোরোহীদের জন্য এই পথ পেরনো বেশ কঠিন। ১৯৫৩ সালে স্যর এডমন্ড হিলারি প্রথম এই অংশ সফলভাবে পেরনো। এবং শৃঙ্গজয় করেন। তার পর থেকেই এই অংশের নাম হিলারি স্টেপ।